বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক শিশুকে বিমানে চড়ার অনুমতি দেয়নি ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। এমন অভিযোগ সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী এই ঘটনা তুলে ধরেন তার ফেসবুক পোস্টে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই কাঠগড়ায় বেসরকারি এই বিমান সংস্থা। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর বিমান কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগরে দেন শিশুটির বাবা-মা। যদিও তাঁদের শান্ত করে রাঁচি স্টেশনের কাছেই একটি হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ।
পরদিনই তাঁরা নিজেদের গন্তব্যস্থল অর্থাৎ হায়দরাবাদে উড়ে যায়। কার্যত সাফাই দেওয়ার মতো করেই ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের যে সমস্যার মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিল, তার জন্য সংস্থা ক্ষমাপ্রার্থী। এছড়াও সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতিবছর প্রায় ৭০ হাজার বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রী ইন্ডিগোতে যাতায়াত করেন। যাত্রীদের সাফাই পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিমান সংস্থা নিজেদের দায় এড়াতে চাইছে।
রাঁচি থেকে হায়দ্রাবাদ গামী বিমানে এই ঘটনা ঘটেছে রাঁচি বিমান বন্দরে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) এর একজন সিনিয়র আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন বিমান সংস্থার থেকে ঘটনা বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইন্ডিগোর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে 'শিশুটি প্যানিক আটাকের কারণেই বিমানে উঠতে পারেনি। বিমানে ওঠার আগেই প্যানিক অ্যাটাক শুরু হয় শিশুটির'।
আরও পড়ুন: মিলল নিরাপত্তার ছাড়পত্র, ফের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করছে জেট এয়ারওয়েজ
বিমানবন্দরে উপস্থিত এক যাত্রী সমগ্র ঘটনাটি তার ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন। জানা গিয়েছে ওই যাত্রীর নাম মনীষা গুপ্তা, তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সাক্ষাতকারে বলেন 'ইন্ডিগোর কর্মীরা শিশুটির প্রতি কোনরকম সহানুভূতিশীল আচরণ দেখায়নি'। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই কাঠগড়ায় বেসরকারি এই বিমান সংস্থা।
বেশ কয়েকজন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু তাদের অভিযোগ বিমান সংস্থার তরফে কোন কথাই শোনা হয়নি। এই নিয়ে ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, 'গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে'।
ঘটনা প্রসঙ্গে DGCA এর তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ''আমাদের কাছে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ এসেছে। এ প্রসঙ্গে আমরা ইন্ডিগো সংস্থার থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি।'' পাশাপাশি ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের তরফেও এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, 'অন্য যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে গত ৭ মে রাঁচি-হায়দ্রাবাদের একটি নির্দিষ্ট ফ্লাইটে এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে উঠতে দেওয়া হয়নি। কারণ সেই সময় শিশুটি অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল"।
Read story in English