'ইন্দিরা গান্ধী বাবাকে সচিব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন', ‘তারপর রাজীব গান্ধী ক্ষমতায় আসার পরও একই ধারা অব্যাহত থাকে। স্মৃতির পাতায় ডুব দিয়ে বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সর্বশেষ সাক্ষাত্কারে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমার বাবা একজন সৎ পরিশ্রমী আমলা ছিলেন, ইন্দিরা গান্ধী, তারপর রাজীব গান্ধী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদ থেকে বাবাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। বাবাকে সরিয়ে সেই পদে এক জুনিয়র অফিসার পদে বসানো হয়। ১৯৭৯ সালে জনতা সরকারের আমলে সচিব হয়েছিলেন বাবা। সম্ভবত তিনিই সেই সময় কনিষ্ঠতম সচিব ছিলেন। এরপর ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী পুনর্নির্বাচিত হন। আমার বাবাকে সচিব পদ থেকে তিনি অপসারিত করেন'।
জয়শঙ্কর তুলে ধরেন আমলা থেকে মন্ত্রী হওয়ার তার জার্নির কথাও। জয়শঙ্কর বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী দুজনেই আমার বাবার প্রতি অবিচার করেছিলেন’। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন যে আমি একজন আমলা পরিবার থেকে এসেছি। আমার বাবা আমার কাছে আদর্শ এবং আমি তার মতো একজন আমলাই হতে চেয়েছিলাম।
সাক্ষাত্কারে, জয়শঙ্কর তার পরিবার এবং তার স্বপ্নের কর্মজীবনকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার বাবা একজন সৎ ও কঠোর এবং দক্ষ আমলা ছিলেন। তিনি সম্ভবত সবচেয়ে কম বয়সের আমলা পদে আসীন হন। যখন ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮০ সালে আবার ক্ষমতায় আসেন, তিনি আমার বাবাকে সরিয়ে দেন। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। রাজীব গান্ধীর সরকার এলে তিনি জুনিয়র অফিসারকে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি করেন। বাবাকে সরিয়ে দেওয়া হয়”।
আরও পড়ুন: < ‘রাশিয়া নিরপরাধ মানুষকে টার্গেট করছে, কিয়েভ জয় অসম্ভব’, হুঙ্কার ছুঁড়লেন বাইডেন >
জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘আমার দাদা যখন সচিব হলেন তখন আমার বাবা খুবই খুশি হয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, জয়শঙ্করের বাবা ২০১১ সালেই প্রয়াত হন। জয়শঙ্কর বলেন, আমার বাবা যদি আমাকে সচিব পদে দেখে যেতে পারতেন তিনি আরও খুশি হতেন, তবে বাবার মৃত্যুর সময় আমি একজন গ্রেড ১ আধিকারিক ছিলাম”।