India-China Talk: আফগানিস্তান সঙ্কটের আবহে তাজিকিস্তানের দুশানবেতে ইন্দো-চিন বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এই বৈঠকে যোগ দেন। উল্লেখ্য, সাংহাই সমবায় সংগঠনের (এসসিও) বৈঠক চলছে তাজিকিস্তানের রাজধানীতে। সেই বৈঠকের ফাঁকেই দুই পড়শি দেশের বিদেশমন্ত্রী আফগানিস্তান সমস্যা এবং এলএসি নিয়ে আলোচনা করেন। জানা গিয়েছে, এলএসি বরাবর দুই দেশের সামরিক সম্ভার পিছনো বা ডিসএনগেজমেন্টের গুরুত্ব কী? চিনের বিদেশ মন্ত্রীর সামনে ব্যক্ত করেন জয়শঙ্কর। দ্বিপাক্ষিক স্তরে সম্পর্ক মজবুত করতে পূর্ব লাদাখে এই ডিসএনগেজমেন্ট জরুরি ছিল। পাশাপাশি আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই পড়শি দেশ।
এই বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, ‘চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে সামরিক সম্ভার কমানো এবং শান্তি-স্থিতি বজায়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে এই পদক্ষেপ খুব জরুরি।‘
এদিকে, উগ্রবাদ ও চরমপন্থাই এখন সব চেয়ে বড় বিপদ। এর বিরুদ্ধে লড়তে নির্দিষ্ট কার্যকরী মানদণ্ড তৈরি করতে হবে। সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের ভার্চুয়াল সম্মেলনে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংগঠনের কী ভবিষ্যত তা নির্ধারণের এটাই সঠিক সময়। শান্তি, নিরাপত্তা ও আস্থা বর্ধনই এখন সংগঠনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এইসব সমস্যার শিকড় জড়িয়ে রয়েছে চরমপন্থার সঙ্গে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মৌলবাদের বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। উগ্রবাদ ও চরমপন্থার মোকাবিলায় সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনকে অবিলম্বে নির্দিষ্ট ও কার্যকরী মানদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে।’
মধ্য এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা পক্ষে সাওয়াল করে ভারতের বিশাল বাজারের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, ‘মধ্য এশিয়ায় সমস্ত দেশের মধ্যে পারিস্পারিক সম্পর্ক যাতে ভাল থাকে এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে যাতে সেই সম্পর্কে পোক্ত হয়, তার নিরলস চেষ্টা করতে হবে সকল সদস্য রাষ্ট্রকেই।’ যে কোনও আন্তর্জাতিক বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বোধাপড়া কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা খুঁজে বের করারয় গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন