Advertisment

শেষ বিমানের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করে ভূমিকম্পে মৃত ইন্দোনেশিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার

ভূমিকম্প যখন অনুভূত হয়, সে সময়ে এটিসি টাওয়ারের পাঁচতলায় ছিলেন আগুং। টাওয়ারের ছাদ ভেঙে যাওয়ার ফলে বিমান টেক অফ করার পর তিনি টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেন, তাঁর হাত, পা ও বুকের পাঁজরে আঘাত লাগে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছবি- ইনস্টাগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পের মাঝে অসীম সাহসের পরিচয় দিয়ে সে দেশের জাতীয় নায়ক হয়ে গেলেন ২১ বছরের এক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার।

Advertisment

আন্তোনিয়াস গুনওয়ান আগুং নামের ওই যুবক ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুহূর্তে পালুর বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর না পালিয়ে গিয়ে তিনি শতাধিক যাত্রীবাহী একটি বিমান যাতে নিরাপদে রওনা দিতে পারে তা নিশ্চিত করেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম জাকার্তা গ্লোব, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ারনাভ ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে জারি করা একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘যখন ভূমিকম্প হয় সে সময়ে আগুং বাতিক এয়ারের টেক অফ ক্লিয়ার করছিলেন। বিমান নিরাপদে আকাশে ওড়া পর্যন্ত তিনি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার কেবিন ছেড়ে নড়েননি।’’

এয়ারনাভ ইন্দোনেশিয়ার কর্পোরেট সেক্রেটারি জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্প যখন অনুভূত হয়, সে সময়ে এটিসি টাওয়ারের পাঁচতলায় ছিলেন আগুং। টাওয়ারের ছাদ ভেঙে যাওয়ার ফলে বিমান টেক অফ করার পর তিনি টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেন, তাঁর হাত, পা ও বুকের পাঁজরে আঘাত লাগে।

শনিবার তাঁকে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু চপার এলে পৌঁছোনোর মিনিট কুড়ির মধ্যেই মারা যান আগুং।

তাঁর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ওই বিমানের পাইলট প্রয়াত আগুংয়ের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আগামী মাসেই ২২ বছরে পা দেওয়ার কথা ছিল আগুংয়ের। আগুংকে সম্মান জানাতে জাতীয় নায়কের মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পাদিত হয়েছে।

earthquake tsunami
Advertisment