Advertisment

জোরালো ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া

৭.৭ তীব্রতার ভূমিকম্পের পর দ্বিতীয়বারও জোরালো কম্পনে ইন্দোনেশিয়া কেঁপে ওঠে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ। দ্বিতীয় বার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৭.৫ ছিল বলে জানা গিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
earthquake, ভূমিকম্প

জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপ। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আবারও কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। শুক্রবার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপ। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৭.৭ বলে জানা গিয়েছে। তীব্র ভূমিকম্পের জেরে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। ৭.৭ তীব্রতার ভূমিকম্পের পর দ্বিতীয়বারও জোরালো কম্পনে ইন্দোনেশিয়া কেঁপে ওঠে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ। দ্বিতীয় বার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৭.৫ ছিল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

প্রথমবারের ভূমিকম্পের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কম্পনের জেরে কমপক্ষে ১০ জন জখম হয়েছে । বেশ কিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

জোরালো ভূমিকম্পের আগে মধ্য সুলাওয়েসি ও পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দফতর। উঁচু এলাকা খালি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বাসিন্দাদের। যদিও সেই সতর্কতা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটা আফটার শক হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন, ইন্দোনেশিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াতে পারে

কম্পনপ্রবণ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ইন্দোনেশিয়া। গত জুলাই ও অগাস্ট মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। সে সময়ে প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সুমাত্রা দ্বীপে সবথেকে বড় ভূমিকম্প হয়। যার জেরে সুনামির কবলে পড়ে ১৩টি দেশ। ইন্দোনেশিয়াতে সেসময় মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি।

২০০৪ সালে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প এবং তার জেরে সুনামি আছড়ে পড়ে অন্তত ১৩টি দেশে। সব দেশ মিলিয়ে দু’লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই মৃতের সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ২০ হাজার।

International news earthquake
Advertisment