শিশুদের টিকাদানে গাফিলতি কোন ভাবেই বরদাস্ত নয়। কঠোর বার্তা ইন্দোর প্রশাসনের। ইতিমধ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৫৪৭ জন যোগ্য পড়ুয়াকে ভ্যাকসিন না দেওয়ার দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ইন্দোর জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৫৪৭ জন যোগ্য পড়ুয়াকে টিকা না দেওয়ার অভিযোগে পাঁচটি বেসরকারি স্কুল সিল করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যেই কোভিডের তৃতীয় ডোজ না নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ইন্দোরের জেলাশাসক মনীশ সিং।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে যে চারটি বেসরকারি স্কুল সিল করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে স্প্রিং ভ্যালি এইচএস স্কুল, জ্ঞান সরোবর একাডেমি, লিটল এঞ্জেলস এইচএস স্কুল, গোল্ডেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং সেন্ট নরবার্ট স্কুল। সংবাদ সংস্থা সূত্রে আরও জানা গেছে মাত্র ২ দিনে টিকাদানে গাফিলতির অভিযোগে মোট ৯ টি স্কুল সিল করে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলাপ্রশাসনের তরফে স্কুল গুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে টিকা দানের ক্ষেত্রে কোন গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। তারপরেও একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এরপরই কোমর বেধে আসরে নামে প্রশাসন। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ‘জেলাশাসকের নির্দেশ পাওয়ার পরও একাধিক স্কুলের বিরুদ্ধে টিকাদানের গাফিলতির একাধিক অভিযোগ আসতে শুরু করে। দেখা যায়, স্কুলের পরিচালন সমিতি, অধ্যক্ষ সহ একাধিক কর্মকর্তা প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়োআঙ্গুল দেখিয়ে টিকাদানের ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেখাতে শুরু করে যার প্রেক্ষিতে মহামারী আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন’।
এদিকে মঙ্গলবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০টি টিকা কেন্দ্রে মোট ৫হাজার ৯৫ জন যোগ্য শিক্ষার্থীকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। ইন্দোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮১৪ জন।