বিশ্বের ত্রাস করোনাকে মোকাবিলা করতে দেশ জুড়ে জারি লকডাউন। বন্ধ হয়েছে কলকারখানা, বন্ধ হয়েছে সব শিল্প, সব উৎপাদন। কবে খুলবে লকডাউন, কবে উঠবে এই গৃহবন্দি দশা সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছে শিল্পমহল। তবে পুনরায় তাঁদের কারখানা খুলে দেওয়া হোক, সেই আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা সরকারের কাছে। যেসব জেলা উৎপাদনশীল, সেখানে অল্প সংখ্যক শ্রমিকদের রেখে সীমিতভাবেই চালু হোক ইউনিটগুলি, এমন আর্জিই ভেসে আসছে বারবার।
দেশে যখন করোনার প্রকোপ বাড়ছে তখন কীভাবে সম্ভব হবে এই কাজ? শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তবেই তাঁদের কাজে বহাল করা হবে এবং আলাদা আলাদা ব্যাচেই করা হবে এই পরীক্ষা। এমনকি ইউনিট মালিকেরা জানিয়েছেন যে কারখানার চত্বরে আলাদাভাবেই রাখা হবে শ্রমিকদের। খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেবেন তাঁরাই। এমনি তাঁরা যাতে সেই ইউনিটে সামাজিক দূরত্ব মেনেই থাকেন তা ও নিশ্চিত করবেন মালিকেরা।
এদিকে সবচেয়ে বেশি করোনা সঙ্কটে রয়েছে মহারাষ্ট্র। কিন্তু পুনেতে বাজাজ অটোর কারখানা খুলতে মরিয়া সেই ইউনিটের মালিকেরা। পুনেতে বাজাজের নেই কারখানাটিতে বছরে কয়েক লক্ষ গাড়ি তৈরি হত। শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার ৫০০ জন। সেখানে এই অবস্থায় বন্ধ সব উৎপাদন। যাতে আংশিকভাবে খোলা সম্ভব হয় এই কারখানা তাঁরই আর্জি জানান হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের সরকারের কাছে। যদিও শ্রমিকদের করোনা স্ক্রিনিং টেস্ট, খাদ্য, বাসস্থান-সব দায়িত্ব নেবেন মালিকেরা, এমনটাই জানান হয়েছে তাঁদের তরফে।
লকডাউন পরবর্তী কীভাবে পুনরায় আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা যাবে অর্থনীতি সে বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে একাধিক সুপারিশও জমা দিয়েছে ভারতীয় শিল্প সংঘ (সিআইআই)। যেসব সেক্টরে "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" করার সুবিধা নেই, সেখানে কীভাবে কর্মসংস্থান শুরু করা যেতে পারে, সে বিষয়েও মতামত জানিয়েছে সিআইআই। প্রাথমিকভাবে ৫০ শতাংশ শ্রমিকদের নিয়ে কাজ শুরু করার পরিকল্পনাও জানিয়েছেন তাঁরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে বাড়ানো হবে লোকসংখ্যা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন