দিল্লিতে কৃষকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আহত পুলিশকর্মীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৮০ জনেরও বেশি রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের তাণ্ডবের বিভীষিকা ভুলতে পারছেন না আহত পুলিশকর্মীরা। কীভাবে তাঁদের লাঠি, তলোয়ার, কাচের বোতল এবং চেন নিয়ে তাড়া করেছিল উন্মত্ত জনতা, সেই ভেবেই শিউরে উঠছেন পুলিশকর্মীরা।
লালকেল্লায় কর্তব্যরত ইনস্পেক্টর পি সি যাদব জানিয়েছেন, তাঁর মুখে, মাথায়, পিঠে এবং হাতে গুরুতর চোট লেগেছে। সেদিনের বিভীষিকার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, "আমরা দেখলাম প্রচুর মানুষ কেল্লার ভিতর ঢুকে পড়ল। তারপর পাঁচিল বেয়ে উপরে রামপার্টে উঠে পড়ে। আমরা ওদের পিছু হটাতে চেষ্টা করি, কিন্তু ওরা আক্রমণাত্মক হয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হাতে তলোয়ার-লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে। একজন পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করে। পরে দৌড়ে নিচে নেমে আমি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে জনতা আমাদের আটকায়, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারে। আমি সুরক্ষাকবচ পরে ছিলাম, কিন্তু তলোয়ারের আঘাতে আমার হেলমেট ভেঙে যায়। তারপর জ্ঞান হারাই আমি। কৃষক বলেই আমরা সংযত থেকেছি, কিন্তু ওরা সেটা করেনি। আমার মাথায় ১২টা সেলাই পড়েছে।"
আরও পড়ুন ‘সাহসিকতার জন্য গর্বিত’, আহত পুলিশদের দেখতে হাসপাতালে শাহ
লালকেল্লায় পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার পর উত্তর, মধ্য ডিভিশনের থার্ড ব্যাটালিয়ন এবং সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয় পুলিশকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু তাণ্ডব সামাল দিতে তারাও হিমশিম খায়। হেড কনস্টেবল মহাবীর ব্যাপক চোট পান। তিনি বলেন, "আমার দিকে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছোঁড়েন আমাকে লক্ষ্য় করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলেও আমাকে রেয়াত করেনি ওরা। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ওরা সিআরপিএফ ভ্যানেও আগুন লাগানোর চেষ্টা করে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন