যৌন হয়রানির মারাত্মক অভিযোগ! দিল্লি পুলিশের ২ সিনিয়ার আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে ভিজিল্যান্স শাখা। এরপরই তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হন ২ আধিকারিক। এখন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেই বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশের ভিজিল্যান্স শাখা।
এবিষয়ে দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, 'এক বিশেষ কমিশনার-র্যাঙ্কের অফিসারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের পরও তদন্ত শুরু হয়। পাশাপাশি অরুনাচল থেকে বদলি হয়ে আসা এক আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে তদন্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও দিল্লির এলজি ভি কে সাক্সেনার কাছে পাঠানো হয়েছে'।
২০২৩ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে, বিশেষ কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে তার অফিসেই এক মহিলা পুলিশ কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। যার পরে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত চলাকালীন, ওই মহিলা পুলিশ কর্মী কিছু 'প্রযুক্তিগত প্রমাণ'ও উপস্থাপন করেন।
পাশাপাশি গত বছরের ২৪ জুন, একজন মহিলা কনস্টেবল অরুণাচল প্রদেশের এক এসপির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। তিনি অভিযোগ করেন যে তিনি মে মাসে এসপির ব্যক্তিগত নম্বর থেকে একটি বার্তা পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই বার্তার কোন উত্তর দেননি। কারণ তিনি ভেবেছিলেন বার্তাটি ভুলভাবে তার কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে ২৩ শে জুন গভীর রাতে, হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভয়েস কলের সঙ্গে অশ্লীল মেসেজও পাঠানো হয়।
এরপরই এমএইচএ ৮ই জুন ওই আধিকারিককে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ দেয়। পরে, তার বিরুদ্ধে তদন্তও দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি (প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকার) আইনের ১৬ ধারা উল্লেখ করে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।