ভারতীয় নৌবাহিনী হাতে পেল দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে। কোচিন শিপইয়ার্ড বৃহস্পতিবার নৌবাহিনীর হাতে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বিমানবাহী রণতরী বিক্রান্তকে হস্তান্তর করল। নৌবাহিনীর নৌ-পরিচালনা দফতর এর নকশা করেছিল। ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে কাজে লাগানো হবে এই রণতরীকে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে এই রণতরীবাহী যুদ্ধজাহাজ পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডের কাছে থাকবে।
এটি ভারতের প্রথম বিমানবাহী রণতরী। ভারতীয় নৌ জাহাজ (আইএনএস) বিক্রান্তের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। কারণ, ওই রণতরী ১৯৭১ সালের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ২৬২ মিটার লম্বা এই যুদ্ধজাহাজের ওজন প্রায় ৪৫ হাজার টন। রীতিমতো বড় এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ এই বিমানবাহী রণতরী। যা চারটি গ্যাস টারবাইন দিয়ে চালিত হয়। এজন্য এর লাগে ৮৮ মেগাওয়াট শক্তি। এর সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং শিপইয়ার্ডের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই রণতরী তৈরি হয়েছে। প্রায় ৭৬ শতাংশ দেশীয় সামগ্রী দিয়ে এই রণতরী তৈরি হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক বলেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মনে করছে। নৌবাহিনীকে বিক্রান্তের হস্তান্তরের মধ্যে দিয়েই ভারত দেশীয়ভাবে বিমানবাহী রণতরীর নকশা এবং নির্মাণকারী দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল।
আরও পড়ুন- প্রয়োজনে কর্নাটকেও যোগী মডেল, দলীয় কর্মীদের বার্তা বোম্মাইয়ের
জাহাজটি দেশীয় তৈরি উন্নত হালকা হেলিকপ্টার এবং হালকা যুদ্ধবিমান ছাড়াও MIG-29K ফাইটার জেট, Kamov-31, MH-60R মাল্টি-রোল হেলিকপ্টার-সহ ৩০টি বিমানের সমন্বয়ে তৈরি একটি এয়ার উইং পরিচালনা করতে পারবে। STOBAR (শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং) নামে পরিচিত একটি অভিনব এয়ারক্রাফট-অপারেশন মোড ব্যবহার করে, বিমানবাহী রণতরী থেকে স্কি-জাম্পের মাধ্যমে বিমান উড়তে পারবে। পাশাপাশি, জাহাজে বিমানগুলো নিরাপদে রাখার জন্য 'আরেস্টার তার' দিয়ে একটি সেটও তৈরি করা হয়েছে।
এই বিমানবাহী রণতরীতে দেশের বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন BEL, BHEL, GRSE, Keltron, Kirloskar, Larsen & Toubro, Wartsila India-র পাশাপাশি শতাধিক মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসংস্থা থেকে নেওয়া প্রচুর পরিমাণে দেশীয় সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়েছে। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
Read full strory in English