Advertisment

ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের নয়া প্রজাতি, দেশে আরও ২ আক্রান্তের হদিশ

ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ওমিক্রনের দুই নতুন প্রজাতি BA.4 এবং BA.5 কে ‘উদ্বেগের নয়া রূপ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India records 16,764 new Covid cases 31 December 2021

টিকাকরণ এবং টেস্টিং এই দুইয়ে ভর করে আজ সুস্থতার পথে দেশ । তার মাঝেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ওমিক্রনের নয়া ভ্যরিয়েন্ট

তেলেঙ্গানায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের শরীরে এবার মিলেছে ওমিক্রনের নয়া প্রজাতি BA.5 । টিকার দুটি ডোজ এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে দেশের বাইরে গত দু বছরের বেশি সময় পা'ই রাখেননি তিনি। তবে কীভাবে আক্রান্ত হলেন ওই ব্যক্তি? চিন্তায় ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। INSACOG সূত্রে জানানো হয়েছে ওই ব্যক্তির জিনোম সিকোয়েন্সে ধরা পড়েছে BA.5 ভ্যারিয়েন্ট। আপাতত হোম আইসোলেশনেই রয়েছেই ওই বৃদ্ধ। তার শারীরিক অবস্থার ওপর কড়া নজর রাখছে স্থানীয় প্রশাসন।

Advertisment

গতকালই তামিলনাড়ুর এক ব্যক্তির দেখে মিলেছে ওমিক্রনের BA.4 ভ্যারিয়েন্ট। ১৯ বছরের ওই মহিলার শরীরেও মিলেছে করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান। জানা গিয়েছে তিনিও কোভিড টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। এর আগে এই ভ্যারিয়েন্টে দু’জনের আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। একজন হায়দ্রাবাদের এবং অন্যজন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ার খবরে বাড়ছে উদ্বেগ। সূত্র মারফৎ পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে চেন্নাইয়ে সাব-ভ্যারিয়্যান্ট BA.4এ আক্রান্ত হয়েছেন এক যুবতী।

চতুর্থ ঢেউ প্রসঙ্গে IIT কানপুরের গবেষকরা দাবি করেছিলেন, চলতি বছরের জুন মাসের ২২ তারিখ থেকেই দেশে করোনার নতুন ঢেউ শুরু হতে পারে। এই ঢেউয়ের ভয়াবহতা চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। IIT কানপুরের বিশেষজ্ঞরা আরও দাবি করেছিলেন, চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে ১৫ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে। এরপরে নিম্নমুখী হবে কোভিড গ্রাফ।

আরও পড়ুন: ঘরকে বিষাক্ত গ্যাসে ভরিয়ে আত্মহত্যা মা-মেয়েদের, নেপথ্যে কী কারণ?

ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ওমিক্রনের দুই নতুন প্রজাতি BA.4 এবং BA.5 কে ‘উদ্বেগের নয়া রূপ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। এই দুই ভ্যারিয়েন্টকেই দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের পঞ্চম ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে করোনার তৃতীয় ঢেউকালীন ওমিক্রনের BA.1 এবং BA.2 ভ্যারিয়েন্টের দাপট দেখা গিয়েছিল।

তবে INSACOG এর তরফে এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম।

এপ্রসঙ্গে INSACOG-এর প্রধান ডাঃ সুধাংশু ব্রতী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই চিন্তার কোন কারণ নেই। এই ভাইরাসের প্রভাবে ভারতে ডেল্টার মত গুরুতর সংক্রমণের সম্ভাবনা কম, তবে আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই করোনার টিকা নিয়েছেন সেক্ষেত্রে নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই’।

Read full story in English

Omicron Omicron Strain Omicron india New Omicron strain
Advertisment