তিহার জেলে অবাধেই চলছে ফোনের ব্যবহার। গত এক বছরে, পুলিশ কর্মীরা তিহার জেলের ভিতর থেকে প্রায় এক হাজারের বেশি বেআইনি মোবাইল উদ্ধার করেছে। ভারতের বৃহত্তম কারাগারগুলির মধ্যে অন্যতম এই তিহার জেল। প্রায় ১৭ হাজারের কাছাকাছি কয়েদি বর্তমানে এই জেলে বন্দী রয়েছে। আর এখানেই ফোনের রমরমা ব্যবহার আটকাতে এবার মরিয়া পুলিশ-প্রশাসন।
কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ‘ইতিমধ্যেই জেলের ভিতর প্রায় ৭০০০ সিসিটিভি ইন্সটল করা হয়েছে’। কিন্তু সেগুলিকে ফাঁকি দিয়েই চলছে মোবাইলের ব্যবহার। তিহার জেল সূত্রে এর আগে Airtel, Jio Vodafone-Idea এবং MTNL-এর সঙ্গে এক আলোচনায় বিশেষ এক ধরনের জ্যামিং সলিউশন নিয়ে এসেছে। যা ডমিনেন্ট টাওয়ার হিসাবে পরিচিত। এর রেঞ্জের মধ্যে থাকা মোবাইল গুলি স্বয়ংক্রিয় ভাবেই কাজ করা বন্ধ করে দেব। এই ধরনের তিনটি টাওয়ার জেলের ভিতর বসানো সত্বেও মোবাইল ফোনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।
সূত্রের খবর জেল প্রশাসনের কাছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা জানায় বন্দীরা এখনও জেল কমপ্লেক্সের ভিতর মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। জেলের বেশ কয়েকটি স্থানে মোবাইল নেটওয়ার্ক মিলছে। বন্দিরা সেই স্থানগুলিকে কাজে লাগিয়ে কল করা জারি রেখেছে। এবার তিহার জেল প্রশাসনের তরফে জেলের ভিতর পুরোপুরি মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করতে আরও বেশ কয়েকটি জ্যামার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: <চারিদিকে হাহাকার! মৃত্যুমিছিলে কান্নার রোল মণিপুরের নানি জেলায়, মৃত বেড়ে ২৯>
এবিষয়ে তিহার জেল সুপার সন্দীপ গোয়েল বলেন, মোবাইল ফোনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে জেল ওয়ার্ডের ভিতরে আরও মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি, পাঞ্জাবে সিধু মুসেওয়ালা হত্যার পরে তদন্তে উঠে এসেছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই তিহার জেলের ভিতরে বসেই মোবাইলে তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অবশেষে মোবাইলের ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে এই জ্যামার বসানোর সিদ্ধান্ত জেল প্রশাসনের।