করোনাভাইরাসের কারণে নয়, ভারতে ৭৩ শতাংশ কোভিড-১৯ ভাইরাসের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে। সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লভ আগরওয়াল বলেন যে এখনও পর্যন্ত ৯৫ হাজার ৫২৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই রোগ থেকে। সুস্থতার হার ৪৮.০৭ শতাংশ। তাই এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কথাটি বলতে চাইছে না আইসিএমআর।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের ড: নিবেদিতা গুপ্ত বলেন, "কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শব্দ ব্যবহার না করে কোভিডের বিস্তার কতটা হয়েছে তা জানতে হবে"। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই দু'লক্ষ ছুঁতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৮ জনের। এর মধ্যে দেশে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। সেখানে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর এরপরই উঠে আসছে তামিলনাড়ুর নাম। যদিও তামিলনাড়ুই প্রথম কোনও রাজ্যে যেখানে এখনও পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ করোনা টেস্ট হয়েছে।
এদিকে এখনও বন্ধ দিল্লির সব সীমান্ত। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিবলভ আগরওয়াল বলেন, "আমরা সমস্ত রাজ্যকে বলেছি কোভিড অবস্থা কোন রাজ্যে কেমন তা নিজেরা যেন বিশ্লেষণ করেন। যদি রাজ্য মনে করে তারা অস্থায়ী কোভিড কেয়ার তৈরি করবে তা করতে পারে।"
অন্যদিকে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হয়চ খুব বেশি এখনও নয়, কিন্তু সোমবার এই অঞ্চলে সংক্রমিতের সংখ্যার বড়সড় বৃদ্ধি ঘটেছে। ত্রিপুরায় একদিনে ১০০ সংক্রমণ ধরা পড়েছে, অরুণাচলপ্রদেশে সংক্রমিত ৪ থেকে ২০তে এবং মণিপুরে ৭৮ থেকে তা পৌঁছিয়েছে ৮৩-তে।এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি করোনাপ্রভাবিত রাজ্য হল আসাম ও ত্রিপুরা। কার্যত আসাম এখন দেশের মধ্যে যে সব রাজ্যে সংক্রমণ দ্রুততম হারে বাড়ছে, তার অন্যতম। গত এক সপ্তাহে এ রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে. ২৫ মে যে সংখ্যা ছিল ৫২৬, তা এখন ১৪৬৪। দ্বিগুণত্বের হাত ৪.৫ দিন। সোমবার আসামে মোট ১৯২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৭৭২। সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ১৪১।সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০৪০। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৬৩১), উত্তর ২৪ পরগনা (৪২০), হুগলি (১৩৪),দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১০৮)।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন