Advertisment

ক্যাব পেশের আগে বিশেষ বৈঠকে বসেছিল মোদী সরকার, চাঞ্চল্যকর খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হাতে

পুলওয়ামা থেকে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক, ৩৭০ ধারা, অযোধ্যা সহ নানা বিষয়ে সরকার তাদের সঙ্গে কথা বললেও কেন সিএএ নিয়ে নীরব? প্রশ্ন তোলেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা। এমন চললে 'ভারত তার বন্ধু রাষ্ট্রের সমর্থনও হারাবে' বলে হুঁশায়ারি দেন রাষ্ট্রদূতরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ক্যাব ঘিরে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিকস্তরেও যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে চর্চা হতে পারে তা আগাম আঁচ করতে পেরেছিল মোদী সরকার। তাই বিল সংসদে পেশের কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অভ্যন্তরীণ বৈঠক করেছিল। বিলের বিভিন্ন বিষয় ছাডা়ও তার পরিণতি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের মোকাবিলার কৌশল ওই আন্তঃমন্ত্রক বৈঠকে উঠে এসেছিল বলে সূত্র মারফত জানতে পেরেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

Advertisment

নভেম্ভরের শেষের দিকের এই কেন্দ্রীয় আন্তঃমন্ত্রক বৈঠকে গৃহিত বিভিন্ন কৌশল বিদেশমন্ত্রককেও জানানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে দুদিন বিতর্কের পর সংসদের উভয়কক্ষেই ক্যাব পাস হয়ে যায়। পরদিনই তাতে সাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি। ফলে ক্যাব আইনে পরিণত হয়। জানা গিয়েছে, এরপরই বিদেশমন্ত্রীক ১২০ দেশে নিয়োজিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের নয়া আইনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রশাসনকে অবগত করা কথা বলে। তবে, বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট দেশ সিএএ নিয়ে জানর আগ্রহ প্রকাশ করলে তবেই যেন পুরো বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: বন্ধু খোয়াবে ভারত, সিএএ-র জন্য সতর্ক করছে বহির্বিশ্ব

বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের মূল বিষয়, উদ্দেশ্য ও সংশোধনের কারণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। কেন এই বিল ২০১৬ সালের থেকে পৃথক তাও জানানো হয়।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ভারতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বলেছিল। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দেশে ঘটা চলা বিক্ষোভ ঘিরে তারা যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে। চলতি বছরে পুলওয়ামা থেকে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক, ৩৭০ ধারা, অযোধ্যা সহ নানা বিষয়ে সরকার তাদের সঙ্গে কথা বললেও কেন সিএএ নিয়ে নীরব তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা। এমন চললে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। এমনকি 'ভারত তার বন্ধু রাষ্ট্রের সমর্থনও হারাবে' বলে হুঁশায়ারি দেন রাষ্ট্রদূতরা। এই তালিকায় রয়েছেন জি-২০, পি-৫ গোষ্ঠার অন্তর্ভুক্ত দেশও।

সাউথ ব্লকের দাবি, সম্পূর্ণ আইনটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এছাড়া, সংসদে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই ক্যাব আইনে পরিণত হয়েছে। সংসদে বিতর্কে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব আইন ঘিরে সাংসদদের তোলা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। তাই এবিষয় সম্পর্কে কৌতুহলের নিরসন ভারতীয় রাষ্ট্রদূতরাই করে দেবে বলে মনে করা হয়েছিল। তাই এদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আর পৃথক করে সিএএ নিয়s অবহিত করা হয়নি। তবে, তাদের সাধারণভাবে উঠে আসতে পারে এমন সব প্রশ্নের উত্তর লিখিত আকারে পাঠানো হয়েছিল সব দূতাবাসে।

Read the full story in English

PM Narendra Modi caa modi
Advertisment