সদ্য নিযুক্ত সিবিআই ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাওকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০১৪-র আর্থিক বছরের মধ্যে কলকাতার এক সংস্থা এবং নাগেশ্বর রাও-এর স্ত্রী-এর মধ্যে একাধিকবার বেশ বড় অংকের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। সল্টলেকের অ্যাঞ্জেলা মার্কেনটাইল প্রাইভেট লিমিটেড নামের ওই সংস্থাকে সিবিআই ডিরেক্টরের স্ত্রী প্রায় ১.১৪ কোটি টাকা দিয়েছেন।
রেজিস্ট্রার অব কোম্পানি (আরওসি) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাও-এর স্ত্রী এম সন্ধ্যা ২০১১ সালে অ্যাঞ্জেলা মার্কেনটাইল প্রাইভেট লিমিটেড-এর থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন। ২০১২ থেকে ২০১৪-র মধ্যে তিনটি খেপে ৩৫.৫৬ লক্ষ, ৩৮.২৭ লক্ষ এবং ৪০.২৯ লক্ষ টাকা এম সন্ধ্যা সল্টলেকের ওই সংস্থাকে ধার দেন।
রেজিস্ট্রার অব কোম্পানি-র তালিকায় অ্যাঞ্জেলা মার্কেনটাইল প্রাইভেট লিমিটেড-এর ডিরেক্টর হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে প্রবীণ আগরওয়ালের নাম। প্রবীণ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "সন্ধ্যা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর স্ত্রী। ওদের আমি দীর্ঘ দিন ধরে চিনি, নাগেশ্বর রাও যখন ওড়িশায় ছিলেন। তখন থেকে, আমরা একটা পরিবারের মতো। সেরকম একজনকে যদি ধার দিই, অথবা আমার সংস্থায় বিনিয়োগ করতে দিই, তাতে অসুবিধের কী আছে"?
আরও পড়ুন, অলোক ভার্মা: দিল্লির নিচু তলার পুলিশকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে আজও ‘ভার্মাসাবে’র ছবি
আরওসি সূত্রে পাওয়া আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে সিবিআই মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি।
মঈন কুরেশি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক এবং ২ নম্বর গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর পর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর হিসেবে নাগেশ্বর রাও-কে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। রাজনীতি মহলে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ১৯৮৬ সালের ওড়িশা ক্যডারের আইপিএস অফিসার নাগেশ্বর রাও-এর। ২০০৮ থেকে ২০১১-এর মধ্যে সিআরপিএফ- এ ছিলেন রাও। ২০১৬ সালে সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফ থেকে সাংবাদিকরা গত শুক্র এবং শনিবার সিএ, ৩৯, সল্টলেক, অ্যাঞ্জেলা মার্কেনটাইল প্রাইভেট লিমিটেড-এর নথিভুক্ত এই ঠিকানায় হাজির হয়েছিলেন দু'বার। কেয়ারটেকার জানিয়েছেন সেটি প্রবীণ আগরওয়ালের বাড়ি। তবে সেখানে কোনো অফিস নেই। তাঁর পরিবারও সেখানে থাকে না।
Read the full story in English