কৃষক আন্দোলন নিয়ে ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী। সিঙ্ঘু-টিকরি-গাজিপুর- দিল্লি সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভস্থল ‘কার্যত’ দুর্গে পরিণত করেছে দিল্লি পুলিশ । রাস্তায় সিমেন্ট ঢেলে গেঁথে দেওয়া হয়েছে পেরেক। সঙ্গে উঁচু কংক্রিটের বাধা। রয়েছে বোল্ডার-ব্যারিকেডও। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে ভারতের ভাবমূর্তি বিশাল ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, দিল্লি সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভ ঠেকাতে মোদী সরকারের উদ্যোগকে মঙ্গলবারই বিঁধেছিলেন রাহুল। টুইটাবার্তায়, 'সেতু তৈরি করুন, দেওয়াল নয়' বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
এদিন কংগ্রেস সাংসদ বলেছেন, 'যেভাবে আমরা কৃষকদের প্রতি আচরণ করছি, যেভাবে সাংবাদিকদের প্রতি আচরণ করা হচ্ছে, তাতে দেশের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে'।
চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে সুর নরম করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। বিরোধীদের দাবি মেনে কৃষি আইন নিয়ে সংসদে ১৫ ঘণ্টা আলোচনাতেও রাজি হয়েছে কেন্দ্র। ই রেশ ধরেই কেন্দ্রকে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বলতে শোনা যায়, " আজ নয় তো কাল কৃষকদের দাবির কাছে সরকারকে মাথানত করতেই হবে। তবে এত দেরি কেন ?" পাশাপাশি রাহুলের আরও প্রশ্ন, "কেন দিল্লিকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে? আন্দোলনকারী কৃষকদের মারধর, হুমকি দেওয়া হচ্ছে কেন? উল্টে সমস্যা সমাধানের বিন্দুমাত্র চেষ্টা করছে না কেন্দ্র।"
সম্প্রতি ভারতে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন পপস্টার রিহানা। 'কেন আমরা এটা নিয়ে কিছু বলছি না?' টুইটারে লেখেন রিহানা। এর পালটা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত টুইটারে লেখেন, 'কেউ এটা নিয়ে বলছেন না কারণ, তাঁরা কৃষক নন, জঙ্গি, যারা দেশকে ভাগ করতে চায়…।’
প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খালিফাও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে টুইটারে লেখেন, 'এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? নয়াদিল্লিতে ইন্টারনেট পরিষেবাই বন্ধ করে দিয়েছে?' কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করেছেন গ্রেটা থুনবার্গও। এরপরই আসরে নামে বিদেশ মন্ত্রক। কৃষক বিক্ষোভকে ঘিরে যেভাবে বিদেশিরা সরব হচ্ছেন, তার নিন্দায় সরব হয় তারা।
এরপরই আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তির কথা তুলে ধরেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন