উপত্যকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে পুলিশকে মুচলেখা দিতে হচ্ছে। ন্যূনতম ছয়'দফা শর্ত পূরণ হলে তবেই মিলবে ছাড়পত্র। মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করা যাবে না বা এনক্রিপটেড ফাইল আপলোড করা যাবে না, নেটওয়ার্কের সব ইউএসবি পোর্ট ডিসাবেল করে রাখা হবে- এই শর্তেই অফিসগুলিকে নেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
গত দু'সপ্তাহে কাশ্মীরের ১০০টির বেশি ব্যবসায়িক সংস্থাকে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রীনগর, পহেলগাম, গুলমার্গের পর্যটন এজেন্ট আইটি কোম্পানি সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ছাড়পত্রের ভিত্তিতেই এইসব সংস্থাকে ইন্টারনেট ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন পুলিশের শীর্ষ কর্তা ও সরকারি দফতরেরও নেট পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ নিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দিন, জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনকে বলল সুপ্রিম কোর্ট
মোটের উপর ছয়'টি শর্ত পূরণ করতে হচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা মেলার ক্ষেত্রে। মুচলেখায় বাধ্যতামূলকভাবে লিখতে হবে, ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা হবে। এই ছয়'টি শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য...
১) নির্ধারিত আইপি দিয়ে সোশাল নেটওয়ার্কিং, ভিপিএন বা ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে না।
২) আইপি দিয়ে এনক্রিপটেড ফাইল ব্যবহারের মাধ্যমে কোনও ভিডিও বা ছবি আপলোড করা যাবে না।
৩) নথিভূক্ত পিসির মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে।
৪) নেটওয়ার্কে ইউএসবি পোর্ট ডিসাবেল রাখতে হবে।
৫) ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়ম লংঘন বা অপ-ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকবে।
৬) প্রয়োজনে সুরক্ষার স্বার্থে সংস্থা সব ধরনের সহযোগীতা করবে।
আরও পড়ুন: সময় হলেই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে কাশ্মীরে: অমিত শাহ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, কোনও সংস্থার ইন্টারনেট যোগাযোগ মেলার ক্ষেত্রে তাদের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। ৫ই অগাস্ট উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা রদ করা হয়। তবে থেকেই বন্ধ ইন্টারনেট যোগাযোগ। পরে তা চালু হলেও ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় নিরাপত্তার জন্য। এর আগে দূরদর্শন ও অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনপ্রতিষ্ঠা করা হলেও জম্মু-কাশ্মীরের বেসরকারি সংবাদমাধ্যমেগুলির দফতরে তা হয়নি। মঙ্গলবার সাংবাদিকরা কেন্দ্র ও পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চারও হয়। পুলিশ জানিয়েছে সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের দফতরে ইন্টার পরিষেবা চালু করা যায় কিনা তা বিবেচনাস্তরে রয়েছে।
Read the full story in English