মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে আদালত আইনসভার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে পারে না। সাংবিধানিক বেঞ্চে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল বিষয়ক শুনানির সময়ে এ কথা বললেন বিচারপতি আর এফ নরিম্যান। ৩৭৭ ধারা বহাল রাখার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন আদালতে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী দুটি সংগঠনের পক্ষে এক আইনজীবী বলেন, এ বিষয়টি সংসদকে ঠিক করতে দেওয়া উচিত। তারই জবাবে বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, যে মুহূর্তে আমরা বুঝব যে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তখন আমরা বিষয়টি আর আইনসবার হাতে ছাড়তে পারব না। কোনও সরকার যদি ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এমন কোনও আইন বাতিল না করতে পারে, তাহলে সে আইন বাতিলের অধিকার আদালতের হাতেই ন্যস্ত থাকবে।’’
৩৭৭ ধারা অবলুপ্ত হবে কিনা সে নিয়ে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে গত ১০ জুলাই থেকে। পাঁচ সদস্যের এই বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। এ ছাড়া ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এ এম খানউইলকর, আর এফ নরিম্যান, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দু মালহোত্রা।
আজকের সওয়ালে এক প্রবীণ আইনজীবী সওয়াল করেন যে সমকামীদের জন্য এইডস ছড়ায়। এর উত্তরে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেসব শ্রমিকরা কাজ করতে যান, তাঁদের মাধ্যমেও এইডস ছড়ায়। তাহলে কি যে কোনও ধরনের যৌনতাই নিষিদ্ধ করতে হবে? বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা বলেন, বিসমকামীদের মাধ্যমেও যৌনরোগ ছড়ায়।
Senior Adv K Radhakrishnan for Trust God Ministries: homosexuals spread Dieases like AIDS. Justice Chandrachud: migrant workers also spread HIV. So your logic all sexual intercourse will have to be banned, even heterosexual @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno)
Senior Adv K Radhakrishnan for Trust God Ministries: homosexuals spread Dieases like AIDS. Justice Chandrachud: migrant workers also spread HIV. So your logic all sexual intercourse will have to be banned, even heterosexual @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) July 17, 2018
17, 2018
এদিনই এই বিষয়ক শুনানি শেষ হল বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক বেঞ্চ। তবে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছেন। আগামী ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে দীপক মিশ্রের। তার আগেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৩৭৭ ধারা বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটশন দাখিল করেছিলেন নৃত্যশিল্পী নভতেজ জৌহর, সাংবাদিক সুনীল মেহতা, শেফ ঋতু ডালমিয়া, হোটেল ব্যবসায়ী অমর নাথ, কেশব সুরি, ব্যবসায়ী আয়েষা কাপুর এবং আইআইটি-র ২০ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।