হায়দরাবাদ, উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে উত্তাল দেশ। ধর্ষণের মত অপরাধের অভিযুক্তদের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় ধৈর্য্যচ্যূতি ঘটছে মানুষের। ক্রমশ বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে আইপিসি এবং সিআরপিসি-তে ফের বদল আনার কথা বলেন অমিত শাহ। এতে বহু দিনকার সমস্যা দূর হবে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পুনেতে রবিবার ডিজিএসপি ও আইজিদের ৫৪ তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। দেশের সব দায়িত্বশীল পুলিশদের প্রশংসা করেন তিনি। এই সম্মেলনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান গণতন্ত্রের প্রেক্ষিতে আইপিসি এবং সিআরপিসি-তে বদলে ইঙ্গিত দেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সব রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিতে আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি আইন কাঠামো বদলের প্রস্তাব অমিত শাহর
এই প্রথম নয়। এর আগে লখনউয়ের রাজ্য পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত চতুর্থ অল ইন্ডিয়া পুলিশ সায়েন্স কংগ্রেসের (এআইপিএসসি) স্বেচ্ছাসেবক অধিবেশনে শাহ বলেছিলেন, 'ভারত সরকার ফৌজদারি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধিতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কাজ করতে চলেছে। সেখানে অস্ত্র আইনে পরিবর্তন করা হবে। এমনকি পরবর্তীতে হতে চলেছে মাদক সম্পর্কিত সমস্ত আইন। ব্রিটিশরা যা করে গিয়েছিল তা এই দেশে দাসত্ব রক্ষার স্বার্থে। সেই সময় নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হত না। কিন্তু এখন আমরা স্বাধীন, তাই সেই পদ্ধতি এখনও চালিয়ে যেতে পারি না আমরা।'
আরও পড়ুন: উন্নাও বুঝিয়ে দিল, এনকাউন্টার সমাধান নয়
পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন. 'একজন মানুষ যখন অপর একজনকে হত্যা করে, তার চেয়ে জঘন্য অপরাধ আর হয় না। এর জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ৩০২ ধারা রয়েছে। তবে বর্তমান ব্যবস্থায় সম্পত্তি লুট করা বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মতো অপরাধ কিন্তু হত্যার মতোই ঘৃণ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই বিপিআরডি এই আইন পরিবর্তনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে তাঁদের সুপারিশ প্রেরণ করেছে। আমি কোনও তাড়াহুড়ো করতে বলছি না। সব আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এই অনুষ্ঠানেই পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশের সেরা পুলিশ অফিসারদের পদক দিয়ে সম্মানিত করেন তিনি।
Read the full story in English