ঔপন্যাসিক সলমন রুশদির ওপর হামলার জন্য তাঁকে ও তাঁর সমর্থকদেরকেই দায়ী করল ইরান। সেদেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নাসের কানানি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন যে, বাকস্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে রুশদি তাঁর লেখায় ধর্মকে অবমাননার অধিকার পেয়ে গেলেন।
বুকারজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক রুশদির বিরুদ্ধে ইরান ফতোয়া জারি করেছিল। পরে অবশ্য সেই ফতোয়া তুলে নিলেও তারা যে রুশদির ব্যাপারে মনোভাব বিন্দুমাত্র বদলায়নি, সোমবার সেটাই যেন নতুন করে বুঝিয়ে দিল ইরান।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঔপন্যাসিক রুশদির বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে সেই বই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বইটি নিষিদ্ধ করেছে। ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা তো রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়াই জারি করেছিলেন। কারণ, বইয়ের একাংশে মুসলিম মৌলবীকে নিয়ে উপহাস করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেছেন।
এরপরই ১৯৮৯ সালে ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ রুহল্লাহ খোমেইনি ফতোয়া জারি করেছিলেন রুশদির বিরুদ্ধে। বছর দশেক পর ইরান আর সেই ফতোয়া জারি রাখতে রাজি হয়নি। তারপর থেকেই রুশদি স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করেছিলেন।
সোমবার অবশ্য ইরানের বিদেশমন্ত্রীর কথায় বোঝা গেল, ফতোয়া তুললেও রুশদির প্রতি ইরানের রাগ যায়নি। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘সলমন রুশদি ইসলামিক পবিত্রতার অবমাননা করেছেন। তিনি শেষ সীমারেখা অতিক্রম করে ১৫০ কোটি মুসলিমের ক্ষোভের শিকার হয়েছেন।’ তবে, এই হামলায় যে ইরানের যোগাযোগ নেই, সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইরানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র।
নাসের কানানি বলেন, ‘রুশদির ওপর হামলার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করা উচিত নয়। এই হামলার জন্য রুশদি ও তাঁর সমর্থকরাই দায়ী। তাঁদেরকেই নিন্দা এবং তিরস্কারের যোগ্য বলে ইরান মনে করে।’ একইসঙ্গে, এই হামলার সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র অস্বীকার করে কানানি জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে, হামলাকারী সম্পর্কে তার চেয়ে বেশি তথ্য ইরানের কাছে নেই।
Read full story in English