ইরান একটি হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুতগামী) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি একথা জানিয়েছে। ইরানের সেনাবাহিনী রেভলিউশনারি গার্ডস। তার কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে যে, ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। যে কমান্ডার এই খবর সংবাদ সংস্থাটিকে দিয়েছেন, তাঁর নাম আমির আলি হাজিজাদেহ।
তিনি সংবাদ সংস্থাটিকে বলেছেন, 'এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। এটি বায়ুমণ্ডলের ভিতরে ও বাইরে উভয় জায়গাতেই আঘাত হানতে পারে। এটি শত্রুর উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে ইরানের একটি বড়সড় পদক্ষেপ।'
ইরানের সামরিক বাহিনীর ওই আধিকারিক আরও জানান, এই ক্ষেপণাস্ত্র তার গতিপথ বদল করতে সক্ষম। ফলে, তা আটকানো শত্রুপক্ষের কাছে কঠিন হয়ে যাবে। ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার এসব জানালেও, ইরানের বিদেশ দফতর কিন্তু, এমন কোনও অস্ত্রপরীক্ষার কথা জানায়নি। বর্তমানে ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরান বিরাট অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তুলেছে, এমন কোনও তথ্যও অতীতে পাওয়া যায়নি। সেসব কথা মাথায় রেখে ইউরোপ ও আমেরিকার সামরিক বিশেষজ্ঞরা কটাক্ষের সুরে জানিয়েছেন, ইরানে কখনও সখনও তার অস্ত্রের ক্ষমতাকে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করে।
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে অতিকথন অতীতে অবশ্য ইউরোপ এবং আমেরিকাকে উদ্বিগ্ন করেছে। ২০১৫ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইরানের রাজধানী তেহরানে এক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। সেই চুক্তি ২০১৮ সালে ভঙ্গ হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন আমেরিকা।
আরও পড়ুন- গাড়িতে উঠলেন না, দুই কিলোমিটার হাঁটলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কিন্তু কেন?
গত সপ্তাহে, ইরান জানিয়েছে যে তারা ঘইম ১০০ নামে রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে। এই রকেট পৃথিবী থেকে নিয়ে গিয়ে মহাকাশে ৮০কেজি ওজনের স্যাটেলাইট স্থাপন করতে সক্ষম। ইরানের সরকারি গণমাধ্যম এমনটাই দাবি করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য ইরানের এই ধরনের রকেট পরীক্ষাকে নিরাপত্তার 'স্থিতিশীলতা নষ্টের প্রয়াস' বলে বর্ণনা করেছে। কারণ ওয়াশিংটনের বিশ্বাস, ইরান এই রকেট মহাকাশ গবেষণার বদলে পরমাণু অস্ত্র বহনের কাজে লাগাতে পারে।
Read full story in English