কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। পাশাপাশি এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সহ মোট ৯ জনের
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সহ মোট ৯ জনের। আজারবাইজান-ইরান সীমান্তের কাছে রবিবার সন্ধ্যায় ইরানি প্রেসিডেন্টের কপ্টারটি নিখোঁজ হয়। এর পর থেকে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
সোমবার সকালে ভেঙে পড়া কপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়। ইরানের উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজানের সীমান্ত পরিদর্শন করে ফেরার পথেই পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে ইরানি প্রেসিডেন্টের কপ্টারটি। ইরানের মেহর নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় কপ্টারটিতে থাকা সকল যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর খবর নিয়ে এক্স-এ একটি টুইটও করেছে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, ইরানের বিদেশমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল আজ়ারবাইজান সীমান্তের কাছে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয় কপ্টারটি। ইরানি সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে আজ়ারবাইজান সীমান্তের কাছে পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে ইরানি প্রেসিডেন্টের কপ্টারটি। এরপর ঘন কুয়াশায় ঘেরা জঙ্গলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রার্থনা। ঘটনার পরই এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে মোদী রাইসির কপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি কঠিন সময়ে ইরানের পাশে থাকার বার্তাও দেন।
রবিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কপ্টারটি নিখোঁজ হয়। রাতভর চলে তল্লাশি। এলাকায় প্রবল বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যাহত হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম IRNA জানিয়েছে ১৯ মে সকালে রাইসি আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি সেতু উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ইরানি রেড ক্রিসেন্টের প্রধান বলেছেন, উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কপ্টারের কেবিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহর নিউজও নিশ্চিত করেছে যে দুর্ঘটনাস্থলে বেঁচে থাকা কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে এই দুর্ঘটনা দেশের বিষয়ে কোন প্রভাব ফেলবে না।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে খারাপ আবহাওয়া এবং ঘন কুয়াশার কারণে রাইসির হেলিকপ্টারটি হার্ড ল্যান্ডিং করার চেষ্টা করে। এর ফলেই কপ্টারটি ভেঙে পড়ে রাইসির মৃত্যু হয়।