নাগরিকত্ব আইন ‘বৈষম্যমূলক’ এই সুরে দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। সেই আবহেই মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। বুধবার আরএসএস প্রধান বলেন, দেশের ঐক্য বজায় রাখতে সঠিক সমাধান ও উপায় বাতলাতে পারে হিন্দু সোসাইটি। এমনকী মোহন ভাগবত আরও বলেন, “ভারতমাতার যারা প্রকৃত সন্তান, ধর্ম ও অঞ্চল নির্বিশেষে তাঁরা সকলেই হিন্দু।”
বুধবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে ভাগবত বলেন, “রবীন্দ্রনাথ তাঁর স্বদেশী সমাজে লিখেছেন, হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে কিছু সহজাত বিরোধ থাকলেও হিন্দু পন্থায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে হিন্দু সমাজ সক্ষম। এটাই হিন্দুদের চিন্তার ধারা এবং আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ হিন্দুদের জীবনধারকেই সংজ্ঞায়িত করে।” তাহলে প্রকৃত হিন্দু কারা? এ প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধানের বক্তব্য, “ধর্ম ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে, যাঁদের জাতীয়তাবাদী চেতনা রয়েছে এবং ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে যাঁরা সম্মান করে তাঁরাই হিন্দু। আরএসএস দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে হিন্দু হিসাবে বিবেচনা করে…সংঘের লক্ষ্য, জাতীয় সঙ্ঘবদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা।”
আরও পড়ুন: ভোটার কার্ড-রেশন কার্ড-সার্টিফিকেট লাগবে না, কীভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, জানালেন দিলীপ ঘোষ
বুধবার তেলেঙ্গানা আরএসএস-এর বিজয় সংকল্প শিবিরাম অনুষ্ঠানে এসে মোহন ভাগবত বলেন, “ভারত মাতৃকার যে কোনও সন্তান, সে যে ভাষাতেই কথা বলুক না কেন, যে এলাকা থেকেই আসুক না কেন, যে কোনও দেব-দেবীর পুজো করুক বা নাই করুক, তবুও সে হিন্দু।”
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী যে পাঁচ ধর্মের মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে, সেখানে ইসলাম ধর্মের উল্লেখ নেই। এই আইনের প্রতিবাদে মোদী-শাহর সরকারের বিরুদ্ধে যখন উত্তাল দেশ, সেই পরিস্থিতিতে আরএসএস প্রধানের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরএসএসের উদ্দেশ্য সংগঠন নয়, সঠিক ধরণের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সমাজকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করে তোলা, এমনটাই মত প্রধানের। মোহন ভাগবত বলেন, ” উন্নয়নের জন্য দেশের জনগণ সর্বদাই মহান নেতা এবং সরকারের উপর আস্থা রাখে। তাই দেশের জন্য কাজ করা আমাদের দায়িত্ব।”
Read the full story in English