Bollywood Drug Case: মাদক সেবন করো না। সমীর ওয়াংখেড়ে এসে পড়বেন। মুম্বই এবং গোয়াজুড়ে এখন খানিকটা এমনই গুঞ্জন। ২০০৮ ব্যাচের এই সেই আইআরএস (ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিস) অফিসার, যিনি গত এক বছরে রিয়া চক্রবর্তী এবং সম্প্রতি আরিয়ান খানকে জেলবন্দি করেছেন। বর্তমানে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবির মুম্বই জনের অধিকর্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর আগে এনআইএ এবং ডিআরআইয়ের মতো সংস্থার উচ্চপদে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে বলিউড তারকা, মাদক যোগ, বিতর্ক, কর-শুল্ক ফাঁকিএবং সমীর ওয়াংখেড়ে সমার্থক। এমনটাই বলছেন তাঁর সহকর্মীরা।
মুম্বই বিমানবন্দরের কাস্টমস অধিকর্তা হিসেবে শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আনেন সমীর। সেই সময় বলিউডের কিং খানকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। আয়কর-কর্তা হিসেবে তাঁর হাতের নাগাল গলতে পারেনি অনুরাগ কাশ্যপ, রামগোপাল বর্মা, বিবেক ওবেরয় এবং মিকা সিংয়ের মতো তারকারা।
মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রাক্তন কর্তার ছেলে সমীর ওয়াংখেড়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে খবরের শিরোনামে আসেন। যখন মাদক যোগে জেল খাটতে হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। তখন থেকেই দক্ষিণ মুম্বইয়ের এনসিবি অফিসের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে সাংবাদিকদের। কবে কোন বলিউড তারকাকে জেরার জন্য ডাকা হবে। শুরু হয় মুম্বইজুড়ে চর্চা। গত এক বছরে সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বে এনসিবি অফিসে ৩০ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ছোট-মাঝারি-বড়, সব ধরনের মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমীর বলেছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য তৃণমূলস্তর থেকে ড্রাগ চক্রকে নষ্ট করা। যারা গ্রাহক তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা এনডিপিসির আইনের ২৭ ধারায় মামলা করি। সেই আইন লঙ্ঘন করলেই এনসিবি ব্যবস্থা নেয়। কারণ এদেশে মাদক সেবন বেআইনি।‘
তবে অকুতোভয় তদন্তের সঙ্গে বিতর্ক জুড়ে রয়েছে তাঁর সিভিতে। রিয়া চক্রবর্তী-কাণ্ডে ক্ষিতিজ প্রসাদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন ক্ষিতিজ। আদালতে তাঁর অভিযোগ ছিল, সমীর ওয়াংখেড়ে প্রস্তাব দিয়েছিল মাদক-কাণ্ডে করণ জোহরকে ফাঁসাতে পারলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যদিও পত্রপাঠ সেই অভিযোগ খারিজ করেছিলেন সমীর।
অকুতোভয় তদন্তের কারণে চলতি বছর অগাস্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পদক পেয়েছেন এই আইআরএস অফিসার। যদিও বিরোধীরা তাঁকে বিজেপির লোক বলেই খোঁচা দিয়েছে। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই কাজ করছেন সমীর। এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেস এবং এনসিপির।
যদিও সব সমালোচকরা জানেন, মাদক চক্রে অন্দর মহল পর্যন্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে সমীরের। সেই নেটওয়ার্কে ভর করেই মুম্বই এবং গোয়াকে মাদক-মুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন