Advertisment

ইশরাত জাহান হত্যা মামলা থেকে মুক্তি পেলেন গুজরাটের দুই প্রাক্তন পুলিশকর্তা

২০০৪ সালে ইশরাত জাহান-সহ চারজনকে ভূয়ো সংঘর্ষে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সরব হয় মানবাধিকার সংগঠনগুলি। পুলিশ পাল্টা দাবি করে, ইশরাত-সহ মৃতদের জঙ্গী সংযোগ ছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন এই পুলিশ আধিকারিক

ইশরাত জাহান মামলায় গুজরাট পুলিশের দুই প্রাক্তন আধিকারিককে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বিশেষ সিবিআই আদালত এই রায় দিয়েছে। ডি জি ভানজারা এবং এন কে আমিন নামে ওই দুই প্রাক্তন আধিকারিকের আবেদনের ভিত্তিতে গত ৩০ এপ্রিল আদালত এই সংক্রান্ত মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল।

Advertisment

ডি জি ভানজারার আইনজীবী বিনোদ গজ্জর আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে বলেন, আজ প্রমাণিত হল ভুয়ো এনকাউন্টারের যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই ঘটনায় প্রকৃত অর্থেই দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ দুই অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক আদালতের কাছে ইশরাত জাহান ভুয়ো সংঘর্ষ হত্যা মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এর ঠিক আগেই গুজরাট সরকার জানিয়েছিল, ওই দুই প্রাক্তন আধিকারিককে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা শাস্তি দিতে পারবে না। প্রসঙ্গত, কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের সেকশন ১৯৭ অনুসারে কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মীর কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।

রায় ঘোষণার পরে আদালতে ইশরাতের মা শামিমা কৌসর দাবি করেন, এই রায়ে বাস্তবতা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। অভিযুক্ত দুই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রাজ্য সরকার বাতিল করতে পারে না।

২০০৪ সালের ১৫ জুন আহমেদাবাদের শহরতলীতে ইশরাত জাহান-সহ চারজনকে 'ভূয়ো' সংঘর্ষে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে। ১৯ বছরের ইশরাত ছাড়া বাকি তিনজন ছিলেন জাভেদ শেখ ওরফে প্রাণেশ পিল্লাই, আমজাদালি আকবরালি রানা এবং জিশান জোহর। এরপরই গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সরব হয় মানবাধিকার সংগঠনগুলি। পুলিশ পাল্টা দাবি করেছিল, ইশরাত-সহ মৃতদের জঙ্গী যোগ ছিল।

gujarat ishrat jahan ishrat jahan encounter
Advertisment