ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসণের প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একাধিক প্রস্তাব আনা হয়েছিল। যার ভোটাভুটিতে বিকত থেকেছে ভারত। দিল্লির এই অবস্থানে আমেরিকা সহ পশ্চিমী দুনিয়ার দেশগুলি অসন্তুষ্ট। সম্প্রতি ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্যারেল ভ্যান ওয়েস্টরমও কিছুটা আগ বাড়িয়েই টুইটে লিখেছিলেন যে, 'রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ম মানা উচিত। ভোটদানে বিরত থাকা উচিত নয়।' শুক্রবার পাল্টা দিল রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের রাষ্ট্রদূত টি এস তিরুমূর্তি। তিনি বলেছেন, 'কখন কী করতে হয় ভারত জানে। দয়া করে একতরফাভাবে কিছু বলবেন না।'
সম্প্রতি নেদারল্যান্ড ও ফ্রান্স সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেদেশগুলির প্রধানদের সঙ্গে নমোর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। তারপরই নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের টুইট ও সেই প্রেক্ষিতে পাল্টা তিরুমূর্তির বক্তব্য বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, 'দিল্লি নিজের দেশের স্বার্থবাহী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। বিশ্বের কোনও দেশের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।' এরপরই মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই মস্কোর থেকে তেল কিনেছিল ভারত। দিল্লিতে এসেছিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রীও।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারী, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এর তিন আগে মস্কো ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল দু'টিকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দেয়। এই বছরের জানুয়ারি থেকে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, সাধারণ পরিষদ এবং মানবাধিকার কাউন্সিলে পদ্ধতিগত ভোট এবং খসড়া প্রস্তাবগুলি থেকে বিরত থেকেছে ভারত। দিল্লির দাবি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক।
Read in English