Advertisment

হাসিনার হুঁশিয়ারি-প্রশাসনের পদক্ষেপের পরও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, উদ্বেগ দিল্লির

প্রতিবেশী দেশে অর্ধেকের বেশি প্রশাসনিক জেলায় আধা সামারিক বাহিনী মোতায়েনের পরও কেন এই ধরণের হিংসা হচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
ISKCON temple attacked and devotee killed in Bangladesh noakhali Delhi sees move to stir trouble

বাংলাদেশে কেন সাম্প্রদায়িক হিংসা থামছে না, উদ্বিগন ভারত।

শারদীয়া উৎসবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়েছে। কুমিল্লায়ে দুর্গা মণ্ডপে হামলার পর এবার দুষ্কৃতীদের নিশানায় নোয়াখালির ইস্কন মন্দির। গত বৃহস্পতিবার থেকে সাম্প্রদায়িক হিংসায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোটাটাই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসার উদ্দেশ্যে 'সমন্বিত' ও 'সুচারুভাবে পরিকল্পিত' উস্কানি বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। তবে, এই সেদেশের প্রশাসনের পদক্ষেপ সত্ত্বেও এই ধরণের ঘটনা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ভারত। বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি প্রশাসনিক জেলায় আধা সামারিক বাহিনী মোতায়েনের পরও কেন এই ধরণের হিংসা হচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

Advertisment

কুমিল্লার পর নোয়াখালিতে ইস্কন মন্দিকে ভাঙচুরের ঘটনায় ভীত বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুরা। বাড়ছে অসন্তোষ, বিক্ষোভ। মনে করা হচ্ছে, ইসলামিক মৌলবাদীরা দুই সম্পদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে।

শনিবার টুইটে ছবি নিয়ে নোয়াখালির ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছিল ইস্কন। সেখানে বলা হয়, 'বাংলাদেশে ইস্কন মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে ও ভক্তরা হিংসার শিকার। বাংলাদেশের সব হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারকে আবেদন জানানো হয়েছে। অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি করা হয়েছে।'

সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা বাড়ায় বাংলাদেশজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। সেদেশের ৬৪ প্রশাসনির জেলার মধ্যে ৩৪টিতেই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও কুমিল্লার পর সংখ্যালঘু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়েই উদ্বিগ্ন ভারত।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আর দু-তিন দিনের মধ্যে তদন্তে আরও অগ্রগতি হবে বলে মনে করছি। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এই ধরণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা আগেও এই ধরণের হামলায় জড়িত ছিল বলে জানতে পেরেছি। এদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। অপরাধীগের বিরুদ্ধে দৃঢ় আইনি পদক্ষেপ করা হবে। প্রমাণ মিলেছে, হামলায় জড়িত আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হবে।'

এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কুমিল্লায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। কড়া ও দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস ছিল তাঁর। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেছিলেন যে, 'বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশের সকল ধর্ম-বর্ণের একসঙ্গে বসবাস করবেন। যাঁর যাঁর ধর্ম, তাঁরা পালন করবেন। অর্থাৎ ধর্ম যাঁর যাঁর, কিন্তু উৎসব সকলের। বাংলাদেশে এটা সবসময় ছিল, থাকবেও। প্রত্যেকে সেই উৎসব সামিল হয়ে একসঙ্গে উপভোগ করেন। কিন্তু মাঝেমাঝে কিছু কিছু দুষ্টচক্র কিছু ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের এই চেতনাকে নষ্ট করতে চায়। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কয়েকদিন আগে কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে ব্যাপক তদন্ত হচ্ছে। কিছু কিছু তথ্যও আমরা পাচ্ছি। অবশ্যই এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করবই। আমরা বের করতে পারব। এখন প্রযুক্তির যুগ। এটা বের করা যাবে। সে যেই হোক না কেন, যে ধর্মের হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযখ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা আমরা করেছি এবং করব।'

কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল যে, প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঘটল নোয়াখালির ইস্কন মন্দিরে ভাঙচুর ও হিন্দু ভক্তের মৃত্যুর ঘটনা।

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Indian Government Bangladesh Government Bangladesh India
Advertisment