বিনা চিকিৎসায় দুই শিশু মৃত্যুর পর, গাজার আল শিফা হাসপাতাল থেকে শিশুদের সরানোয় ছাড় দিতে রাজি হয়েছে ইজরায়েল সেনা। তার মধ্যেই গাজায় অব্যাহত রয়েছে ইজরায়েলের বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণ। যাতে নতুন করে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, ইজরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু সংখ্যা ১১,০৭৮ ছাড়িয়ে গেছে। ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। তখন থেকে নতুন করে শত্রুতার সূত্রপাত হয়। পাশাপাশি, ইজরায়েল লক্ষ্য করে রকেট বৃষ্টিও করে হামাস। যাতে, ১,৪০০ জনেরও বেশি ইজরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
তার মধ্যেই ইজরায়েল সেনা দাবি করেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা শহরে তাদের স্থলবাহিনী রবিবার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই হাসপাতালে কয়েক হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত লোকের পাশাপাশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগী আটকা পড়ে আছে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। যাবতীয় প্রয়োজনীয় সরবরাহ কমে গিয়েছে বলেই রিপোর্টে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এপি। শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি পালটা হুমকি দিয়েছেন, হামাসের হাতে বন্দি ২৩৯ পণবন্দিকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। না-হলে, ইজরায়েল তার, 'পূর্ণ শক্তি নিয়ে যুদ্ধ' চালাবে।
আরও পড়ুন- ঘনঘন ভূমিকম্প, যেন দুলছে আইসল্যান্ড, বড় কোনও বিপদের মুখে পৃথিবী?
এই পরিস্থিতিতে, গাজার বৃহত্তম হাসপাতালে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সেখানে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের অভাবে দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েক ডজন নবজাতক চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং জরুরী ত্রাণ সমন্বয়কারী সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-কে বলেছেন, 'স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হামলা চালানোর কোনও যুক্তি থাকতে পারে না। বিদ্যুৎ, খাবার আর জল না-পেয়ে রোগী ও আশ্রিত সাধারণ নাগরিকরা পালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর, ইজরায়েল সেনা তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে।' একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা আল শিফা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।