গোটা বিশ্বের নজর আজ ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের দিকে। আজ থেকে গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দু'পক্ষই। মুক্তি দেওয়া হবে হামাসের হাতে বন্দি ১৩ জনকে। একই সঙ্গে ইজরায়েল ১৫০ প্যালেস্তাইনি বন্দিকে মুক্তি দিতে চলেছে আজ।
চলমান সংঘাতের প্রথম যুদ্ধবিরতিতে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলের ৫০ জন মহিলা ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে। তার বিনিময়ে ইজরায়েলে জেল বন্দি ১৫০ জন প্যালেস্তাইনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। অবশ্য ইজরায়েলের জেলে আটক মোট কতজন প্যালেস্তাইনি মহিলা ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি কাতার সরকারের মুখপাত্র।
আজ থেকে আগামী চার দিনের জন্য ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। এরই মধ্যে দুই পক্ষ বন্দীদের মুক্তির কার্যক্রম শুরু করবে। দু'পুক্ষই ৪ দিনের জন্য যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে। মোট ৫০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা, যার মধ্যে ১৩ জন মহিলা ও শিশুকে আজ মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতির সময় গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণ উভয় অঞ্চলেই হামলা বন্ধ রাখবে ইজরায়েল। এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইজরায়েলের জেলে বন্দি প্যালেস্তাইনিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। হামাসের পক্ষে এই বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে বন্দিদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য থাকলে তাদের একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে।' ইজরায়েল জানিয়েছে, হামাস যতদিন দৈনিক ১০ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে, যুদ্ধবিরতি ততদিন স্থায়ী হতে পারে। কাতারের রাজধানী দোহার একটি অপারেশন রুম থেকে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিমুক্তির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। উল্লেখ্য, বুধবার চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইজরায়েল ও হামাস।
কাতারের মধ্যস্থতায় বুধবার ইজরায়েল ও হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করে। মিশরও এতে সাহায্য করেছে। হামাস ঘোষণা করেছে যে তারা ১৩ জন ইজরায়েলি মহিলা ও শিশুদেরকে মুক্তি দেবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ৪০০ জন ইজরায়েলি নিহত হয়। একইসঙ্গে প্রায় ২৫০ জন ইজরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে আইডিএফ। এরপর থেকে অবিরাম হামলায় গাজার ১৪ হাজারের বেশি বাসিন্দা নিহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। থাইল্যান্ড বলছে, ৭ অক্টোবরের হামলার পর তাদের ২৬ জন নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস।
হামাস তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি বিবৃতি জারি করেছে এবং স্পষ্ট করেছে যে তাদের যোদ্ধারা চার দিন কোনো হামলা চালাবে না। হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা একটি ভিডিওতে বলেছেন যে তার যোদ্ধারা কঠোরভাবে যুদ্ধবিরতি পালন করবে। একই সঙ্গে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীও বলেছে, সেনাবাহিনী গাজায় থাকবে তবে যুদ্ধবিরতির সময় কোনো ধরনের হামলা চালাবে না।