ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের মাঝে বুধবার সকালে ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫০ বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করতে মন্ত্রিসভা একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে। বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইজরায়েল আগামী কয়েক দিনের জন্য গাজায় তাদের বিমান ও স্থল হামলা চালানো বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বলেছেন, ‘এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। প্রকৃতপক্ষে, ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলে ৫ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে ১৪০০ ইজরায়েলিকে হত্যা করে। এর পাশাপাশি ২০০-এর বেশি মানুষকে গাজায় বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিবৃতিতে মন্ত্রীরা যুদ্ধবিরতির পক্ষে কীভাবে ভোটাভুটি হয়েছে তা খোলসা করা হয়নি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চরম ডান ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টি, যারা প্রাথমিকভাবে চুক্তির বিরোধিতা করেছিল, তারাও পক্ষে ভোট দিয়েছে। শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের দলের সদস্যরা এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি। তবে মঙ্গলবার ইজরায়েলের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রতিদিন ১২-১৩ জন বন্দিকে দলে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
বিনিময়ে ইসরায়েল কি দেবে?
চুক্তি অনুযায়ী, ইজরায়েল বন্দি মুক্তির বিনিময়ে ১৫০-৩০০ প্যালেস্তাইনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। এর মাধ্যমে চারদিনের যুদ্ধবিরতি পালন করবে ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ইসরায়েল সরকার সব বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাহায্য পৌঁছে যাবে গাজায়
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সব বন্দি দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত এবং হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত থামবে না। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৫০ প্যালেস্তাইনি নাবালক এবং ৮২ জন মহিলাকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা অনুমোদনের সময় জ্বালানি সরবরাহের অনুমতি দেবে ইজরায়েল।