গত ৩৭ দিন ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এদিকে রাষ্ট্রসংঘ্র নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। সেই প্রস্তাবে ভারত ভোট দিয়েছে। প্যালেস্তাইনের ভূভাগে গিয়ে ইজরায়েলের কার্যকলাপের নিন্দা প্রস্তাবে রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটিতে সমর্থন জানাল ভারত। ১৪৫ টি দেশের মধ্যে ভারতও হল অন্যতম দেশ যারা এই ইজরায়েলের কার্যকলাপের নিন্দার পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্যালেস্তানি এলাকায় ইজরায়েলি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। ভারত এই প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছে। গত ৩৭ দিন ধরে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রসংঘে একাধিক প্রস্তাব আনা হয়, তবে ভারত সেগুলির থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল।
ভারত প্রথমবার ভোট দিয়েছে
অধিকৃত প্য়ালেস্তানীয় এলাকায় যেভাবে ইজরায়েল প্রভাব বিস্তার করেছে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব আনা হয়। ১৪৫ টি দেশ প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছে। ভোটের সময় ১৮টি দেশ উপস্থিত ছিল না। হামাস ৭ অক্টোবর ইজরায়েল আক্রমণ করে। ভারত এর নিন্দা করেছিল। এর পাশাপাশি ভারত গাজাকে মানবিক সহায়তা প্রদানের পক্ষে জোর সওয়াল করে।
রাষ্ট্রসংঘের উপস্থাপিত রেজুলেশনের শিরোনাম ছিল "প্যালেস্তাইনি ভূখণ্ড, জেরুজালেম এবং দখলকৃত সিরিয়ার ইসরায়েলের বসতি স্থাপন"। এই প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। অর্থাৎ অধিকৃত প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের এভাবে দখল করার ঘটনা বেআইনি। এর আগে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেছিল জর্ডান। ভারত এর থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এই প্রস্তাবে জর্ডান বলেছিল, হামাস কোন জঙ্গি গোষ্ঠী নয়, অবিলম্বে ইজরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধ করতে হবে। ১২০টি দেশ এই প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছে। ১৪ টি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এর বাইরে ৪৫টি দেশ এর থেকে ভোটাভুটি থেকে নিজেদের বিরত রাখে।
পুরো ব্যাপারটা কী?
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলে হামলা চালায়। এই হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহত হয়েছে চার হাজারের বেশি শিশু। অনেক দেশ যুদ্ধবিরতি আবেদন জানালেও যুদ্ধবিরতিতে রাজি নন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন যে তিনি হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।