গাজার প্যালেস্তিনীয় উদ্বাস্তুদের সম্পর্কে বুধবার চরম সতর্কবাণী শোনাল রাষ্ট্রসংঘ। আন্তর্জাতিক সংস্থা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিল, জ্বালানি সরবরাহ না-করলে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ত্রাণকার্য দ্রুত বন্ধ করতে হবে। গাজায় মানবিক পরিষেবার বৃহত্তম প্রদানকারী রাষ্ট্রসংঘ বলেছে যে বুধবার রাতের মধ্যেই সেখানে জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। ইজরায়েলের হামলায় গাজায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যেই গাজা আহতদের চিকিৎসার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। এর মধ্যে হামাসশাসিত অঞ্চলে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলেছেন যে বুধবার পর্যন্ত ইজরায়েলি জেট বিমানগুলি ওই অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। তার ফলে মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে।
জ্বালানির অভাব কেন?
গত কয়েকদিনে, ইজরায়েল মিশরের সীমান্তে সাহায্যে ভরা অল্পসংখ্যক ট্রাক আসার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু, হামাসের হাত থেকে ত্রাণ দূরে রাখার জন্য- হাসপাতালের জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী সরবরাহের অনুমতি দেয়নি।
ইজরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র, রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বুধবার বলেছেন যে ইরান বর্তমানে গাজায় হামাসকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছে এবং অনলাইন বার্তা প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইজরায়েল-বিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করছে। ইয়েমেন, লেবানন এবং ইরাকে তেহরান, তাদের সমর্থিত জঙ্গিদের সাম্প্রতিক হামলার নির্দেশ দিয়েছে বলেও ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানকে অভিযুক্ত করেছে। এই পরিস্থিতিতে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন যে হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী নয়। এটি একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। তারা তাদের ভূমি ও নাগরিকদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
কার কী বক্তব্য:-
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, হামাসের ডুবুরিরা ইজরায়েলে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাইডেন বলেছেন, স্থল আক্রমণের সময় সম্পর্কে ইজরায়েলিরা নিজে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
রাষ্ট্রসংঘ বলছে, ক্ষয়ক্ষতি ও জ্বালানির অভাবে গাজার ৪৯টি হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন- ভূগর্ভে মাকড়সার জালের মত বিরাট সুড়ঙ্গ বানিয়েছে হামাস, জানালেন মুক্ত ইজরায়েলি পণবন্দি
এই পরিস্থিতিতে বারবার প্রশ্ন উঠছে, ইজরায়েল-হামাসের এই যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা কত?
যুদ্ধটি উভয় পক্ষের মধ্যে চলা পাঁচটি গাজা যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক। ইজরায়েলি বিমান হামলা এবং অভিযানে কমপক্ষে ৫,৭৯০ গাজাবাসী এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৯৬ জন প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন। ইজরায়েলে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ হামাসের হাতে নিহত হয়েছেন। আর, ২২০ জনেরও বেশি এখনও পণবন্দি। হামাস চলতি সপ্তাহে চার মহিলা পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। একজন মুক্তিপ্রাপ্ত পণবন্দি বর্ণনা দিয়েছেন যে কীভাবে তাঁকে বন্দি করে সুড়ঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।