পণবন্দিদের মুক্তিদান ইস্যুতে এবার পালটা শর্ত দিল প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। শনিবার এই ব্যাপারে হামাসের সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র বলেছেন যে ইজরায়েলকে সমস্ত প্যালেস্তিনীয় বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। তাহলেই তারা ইজরায়েলের পণবন্দিদের মুক্তি দেবে। হামাস বন্দিদের ব্যাপারে একটি চুক্তি করতে রাজি বলেও হামাসের ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন। ইজ এল-দ্বিন আল-কাসাম ব্রিগেডের ওই মুখপাত্র আবু উবাইদা একটি ভিডিও বক্তৃতায় আরও বলেছেন যে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে হামাস চাইছে ইজরায়েলের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে। কিন্তু, ইজরায়েল সেই সম্ভাবনায় অচলাবস্থা তৈরি করেছে।
এর আগে শুক্রবার থেকেই গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। কয়েক হাজার ইজরায়েলি যোদ্ধা প্যালেস্তাইনে প্রবেশ করেছে। তার আগে রাতভর গাজায় বিমান হানাও চালিয়েছিল ইজরায়েল। সেই হামলায় গাজার কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পালটা, হামসা হুমকি দেয় যে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর স্থল ও বিমান হামলা তারা প্রতিহত করবে। ইজরায়েলকে 'পূর্ণ শক্তি' নিয়ে মোকাবিলা করবে। শুধু তাই নয়, গাজা সীমান্তে ইজরায়েলের বাহিনীর সঙ্গে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিদের সংঘর্ষের কথাও হামাস স্বীকার করে নেয়।
ইজরায়েলও শনিবার সকালে স্পষ্ট করে দেয় যে শুক্রবার রাত থেকেই গাজায় তারা সৈন্য মোতায়েন করেছে। এর পাশাপাশি অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলে ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইজরায়েল। যাতে গাজার প্রায় ২৩ লক্ষ বাসিন্দা বহির্বিশ্বের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর সন্ধে নামতেই দেখা যায় যে গাজা অঞ্চলটি অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। যাকে বলে, ব্ল্যাক আউট। সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযানের অংশ হিসেবেই গোটা জায়গাটিতে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে বলেই ইজরায়েল সেনা সূত্রে জানা যায়।
আরও পড়ুন- ‘স্ত্রী ও সন্তানরা দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন’, দাবি কাতারে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত নৌকর্তার আত্মীয়র
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ হয়। সেই প্রস্তাবে ভারত-সহ ৪৫টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি এনেছিল জর্ডানের নেতৃত্বে ২২টি আরব দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে।