গাজায় আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছে ইজরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে হামাস শাসিত গাজায় ইজরায়েলি বিমান ২,৯০০ এরও বেশি নাবালক এবং ১৫০০ এরও বেশি মহিলা সহ ৭,৩০০ জন প্যালেস্তাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) গাজা ভূখণ্ডে হামাসের বিরুদ্ধে তার বিমান অভিযান জোরদার করেছে, গাজা শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে যে এলাকাটি এখন একটি "যুদ্ধক্ষেত্র"-এ পরিণত হয়েছে। । সেনাবাহিনী যুদ্ধবিমান থেকে নামানো লিফলেটে বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে উত্তর গাজা এবং গাজা গভর্নরেটের আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে আর নিরাপদ নয়। আইডিএফ বাসিন্দাদের অবিলম্বে দক্ষিণ গাজায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইজরায়েল গাজায় তার স্থল অভিযান জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ ও সমুদ্র পথেও ব্যপক আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, "গাজার মাটি কাঁপছে" এবং যুদ্ধ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে’। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, আমরা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছেছি। তিনি বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজার মাটি কেঁপে ওঠে। আমরা মাটির উপরে এবং মাটির নীচে আক্রমণ করেছি...পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে’।
সংবাদ এএফপি জানিয়েছে, হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বলেছেন যে তাদের দাবি হল ইজরায়েলি বন্দিদের বিনিময়ে ইজরায়েলকে অবশ্যই সকল প্যালেস্তাইনি বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। শুক্রবার, ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে স্থল বাহিনী গাজায় দ্বিতীয় দফার আক্রমণ শুরু করেছে এবং গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডজন ডজন হামাস ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
হামাস ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে একটি অপ্রত্যাশিত আক্রমণ শুরু করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল বেশ কয়েকটি বিধ্বংসী বিমান হামলা চালায়। ইজরায়েলি সরকারের মতে, হামাসের প্রাথমিক আক্রমণের সময় ইসরায়েলে ১৪০০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। গাজায় হামাস অন্তত ২২৯ জনকে বন্দী করেছে।