শনিবার (স্থানীয় সময়) ইজরায়েল দাবি করেছে যে তারা উত্তর গাজায় হামাসের "সামরিক কাঠামো" ভেঙে ফেলার কাজ সম্পন্ন করেছে, যুদ্ধের তিন মাস পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় প্যালেস্তাইনি জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রায় ৮ হাজারের বেশি বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে ইজরায়েলি সেনা।
ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গাজার মধ্য ও দক্ষিণ অংশে হামাসের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার জন্য একই ধরনের অভিযান চলছে। শনিবার, মার্কিন বিদেশ সচিভ অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্যে তার সপ্তাহব্যাপী সফরের অংশ হিসেবে তুরস্ক ও গ্রিসের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি ইজরায়েল, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর এবং সৌদি আরব সফর করবেন। তিনি তুরস্কের বিদেশ মন্ত্রী হাকান ফিদান এবং প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করেন। আলোচনায় প্রকাশ্যেই গাজায় ইজরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা জানানো হয়েছে।
এদিকে টাইমস অফ ইজরায়েল জানিয়েছে, গত সপ্তাহে লেবাননে হামাস নেতা সালেহ আল-আরৌরিকে হত্যার একটি "প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া"য় শনিবার হিজবুল্লাহ বাহিনী ইজরায়েলে বেশ কয়েকটি রকেট নিক্ষেপ করেছে। আইডিএফের মতে, লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের মাউন্ট মেরন এলাকায় প্রায় ৪০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ বলেছে যে তারা ৬২ "বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র" হামলা চালিয়ে ইজরায়েলি সামরিক ইউনিটকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
প্যালেস্তাইনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ২২,৭২২ জন নিহত হয়েছেন। স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধবিরতির অংশ হিসাবে কয়েক ডজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত শতাধিক বন্দি হামাসের হাতে আটক রয়েছেন বলেই মনে করছে ইজরায়েল।
শনিবার (০৬ জানুয়ারি) ইজরায়েলি বিমান হামলায় খান ইউনিসে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে ইজরায়েলি হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ তার যুদ্ধের সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে বলেছে যে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।