৭ অক্টোবর থেকে গাজায় উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ। বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলা শুরু হয় ২৮ অক্টোবর থেকে। এরই মধ্যে ইজরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে গাজায় এলাকায় নিহতের সংখ্যা ৯,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি।
ইজরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোন মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধে অন্তত ৪ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। রবিবার বিকেলে মধ্য গাজার এক শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলের কাছে কয়েকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গাজা উপত্যকাকে দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। এর আগে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন যে চরমপন্থী জঙ্গি সংগঠন হামাস বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ইজরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে গাজা শহরে ব্যাপক হামলা চালানো হচ্ছে এবং গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন যে ইজরায়েলি বাহিনী গাজা শহরকে ঘিরে রেখেছে এবং এখন এটিকে দক্ষিণ গাজা এবং উত্তর গাজায় বিভক্ত করেছে। তিনি বলেন, 'সৈন্যরা ইতিমধ্যেই সৈকতে পৌঁছেছে এবং সেইসব এলাকা দখল করছে। ইজরায়েল বলেছে, 'এখন হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে আকাশ পথের পাশাপাশি স্থল আক্রমণ শুরু করা হয়েছে'।
একটি পৃথক বিবৃতিতে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান এলটিজি হার্জি হালেভি এক বৈঠকে বলেন, আইডিএফ যে কোনও মুহূর্তে উত্তর গাজা আক্রমণ করতে প্রস্তুত। এদিকে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী অভিধান থেকে 'যুদ্ধবিরতি' শব্দটি বাদ দিতে বলেছেন। হামাসকে পরাজিত না করা পর্যন্ত আমরা হামলা চালিয়ে যাব।' এদিকে, আমেরিকায় ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত মাইকেল হারজগ গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী আস্তানা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, 'গাজা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী কমপ্লেক্স। যেখানে হাজার হাজার যোদ্ধা এবং রকেট এবং অন্যান্য অস্ত্র এবং ভূগর্ভস্থ টানেল রয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি'।
এদিকে, গাজার তরফে দাবি করা হয়েছে ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান রবিবার গাজা উপত্যকার মাঝখানে দুটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত এবং অনেক আহত হয়েছেন। ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের মধ্যে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রবিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি প্যালেস্তাইনি রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে ইজরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার পর ব্লিঙ্কেন জর্ডানে আরব দেশগুলোর বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন।