প্রায় এক মাস ধরে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত চলছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সাড়ে দশ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখনই যুদ্ধ থামার কোন ইঙ্গিত নেই। একদিকে ইজরায়েল বেছে বেছে হামাস সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার অঙ্গীকার করেছে। ভয়ঙ্কর যুদ্ধের মাঝেই হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে উত্তর গাজার একটি স্কুলকে লক্ষ্য করে বেনজির বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে এই হামলায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন ডজন খানেক মানুষ। তাদের গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের মাঝেই বেনজির হুঁশিয়ারি দিল ইরান। ইরান দাবি করেছে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে ইজরায়েল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি দাবি করেছেন, আমেরিকার সাহায্য ছাড়া পঙ্গু বেঞ্জামিন সরকার।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি শুক্রবার হিব্রু ভাষায় একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলেছেন যে ইহুদি রাষ্ট্র 'আমেরিকান সমর্থন ছাড়াই কয়েক দিনের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে।' টুইটারে তার পোস্টে খামেনি বলেছেন, "ইহুদিবাদী সরকার (ইসরায়েল) মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। বিশ্বের সামনে যুদ্ধের আসল চিত্র তুলে ধরছে না।"
ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, গাজায় বর্তমানে ২৪২ জন ইজরায়েলি নাগরিক হামাসের হাতে বন্দী রয়েছেন। বন্দীদের তালিকায় রয়েছেন বেশ কিছু বিদেশী নাগরিকও। খামেনি দাবি করেছেন যে ইজরায়েল এখন "অসহায় এবং বিভ্রান্ত"। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, " আমেরিকার সমর্থন ছাড়া (ইজরায়েল) কয়েক দিনের মধ্যেই হাত গুঁটিয়ে নিতে বাধ্য হবে"।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে রোমে বড় বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, “সন্ত্রাস গ্রহণযোগ্য নয়, তবে ফিলিস্তিনের সমস্যাও সমাধান করা উচিত।” জয়শঙ্কর বলেন, গত ৭ অক্টোবর সন্ত্রাসবাদের জঘন্য হামলা ঘটে ইজরায়েলে। তার পর থেকে যা কিছু ঘটছে সবই তার প্রতিক্রিয়া। কিন্তু অবশ্যই সবার আশা করা উচিত যে এই বিরোধের অবসান ঘটবে। শান্তি ফিরে আসবে”।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিতর্কের বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন বিরোধে নয়াদিল্লির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করার সময় তিনি এ কথা বলেন। জয়শঙ্কর বলেন, ‘সন্ত্রাস আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তবে এখানে প্যালেস্তাইনের বিষয়টিও রয়েছে। সেই ইস্যুটিরও সমাধান হওয়া উচিত’। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে দুই দেশের মধ্যে চলমান বিরোধের অবসান ঘটাতে আলাও-আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। জয়শঙ্কর বলেছেন সংঘাত ও সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে কখনই কোন সুষ্ঠ সমাধানে আসা সম্ভব নয়।