রবিবার ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন যে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা চন্দ্রযান-৩ অভিযান থেকে বেশ কিছু আকর্ষণীয় তথ্য পেয়েছে। যা আগামী দিনে ব্যাখ্যা করা হবে। ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, 'রোভার পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে। আমরা রোভার থেকে খুব আকর্ষণীয় তথ্য পাচ্ছি, যা অতীতে মেলেনি। বিজ্ঞানীরা আগামী দিনে এটি ব্যাখ্যা করবেন।'
চন্দ্রযান-৩ অবতরণের স্থানটিকে 'শিব শক্তি পয়েন্ট' হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নামকরণ করেছেন। চন্দ্র অভিযানের সাফল্যের জন্য সোমনাথ একের পর এক মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। তিরুবনন্তপুরমের কাছে ভেঙ্গানুরে শ্রীবালা ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর মন্দিরেও বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নিয়েছেন। আর, তারপরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর 'শিব শক্তি পয়েন্ট' নামকরণকেও সমর্থন করেন ইসরোর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, 'নাম নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। ল্যান্ডিং সাইটের নামকরণের অধিকার দেশের আছে। অবতরণ স্থানের নামকরণ প্রথম কোনও ঘটনা নয়। চাঁদে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ভারতীয় নাম আছে। চাঁদে আমাদের সারাভাই ক্রেটার আছে। অন্যান্য দেশগুলোও তাদের বৈজ্ঞানিক কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানের নামকরণ করেছে। এমনকী ছোটখাটো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত স্থানের নামকরণ করা হয়। এটা একটা ঐতিহ্য।'
সোমনাথ জানান যে আরও কয়েকটি দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযান চালিয়েছিল। অবতরণের চেষ্টা করেছিল। চাঁদের এই মেরুতে উপত্যকা আছে। পাহাড় আছে। এখানে সূর্যের আলো মাত্র ১৪ দিন পাওয়া যায়। সেই কারণে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। রোভারের অবতরণের জন্য সমতল এলাকা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন ছিল। এত ব্যর্থতার এটাই কারণ।
আরও পড়ুন- চার দেশের মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠাল নাসা, কোন অভিযানে কেন এমন সিদ্ধান্ত?
সোমানাথ বলেন, 'আমরা অনাবিষ্কৃত চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনার কারণেই ঝুঁকি নিয়েছি। ওখানে রাসায়নিক উপাদান এবং জল খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ১৪ দিনের সূর্যালোকের পরে, রোভার এবং ল্যান্ডারটি একটি স্লিপিং মোডে চলে যাবে। আবার যখন সূর্যের আলো ফিরে আসবে, সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে। যদি তা হয়, তবে আমরা ভাগ্যবান হব। কারণ, তাহলে আরও ১৪ দিন পরীক্ষার জন্য পাওয়া যাবে। যাইহোক, এতে অনেক ঝুঁকি আছে।'