কুন্দনকুলাম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের পাশাপাশি সাইবার নজরদারি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল ইসরোকে-ও। গত সেপ্টেম্বরেই ন্যাশনাল সাইবার কোয়ার্ডিনেশন সেন্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্থাপণ করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমেই আগাম জানা সম্ভব হয় যে সাইবার হানা বা নজরদারি হতে পারে। এর সাহায্যেই ইসরো আগে থেকে বুঝতে পেরেছিল সংস্থার কন্ট্রোল ডোমেনে আঘাত আসতে চলেছে। ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখই সাইবার হানা ও নজরদারি সম্পর্কে সতর্ক হয়ে যায় ইসরো। এমনটাই জানতে পেরেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
গত ২৪ অক্টোবর কুন্দনকুলাম নিউক্লিয়ার প্ল্য়ান্টের লাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি জনসমক্ষে আসে। অনলাইন ম্যালওয়্যার স্ক্যানিং সার্ভিস virustotal.com-য়ের মাধ্যমে তথ্য সামনে এলে তা বোঝা য়ায়। সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে কুন্দনকুলাম এবং ইসরোকে লক্ষ্যবস্তু করা ম্যালওয়্যারটিকে Dtrack হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে, এটি ডোমেন নিয়ন্ত্রকদের নিশানা করেছিল, যা সার্ভার কম্পিউটারের যা সুরক্ষা প্রমাণের মাধ্যমে ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের টার্গেট লিস্টের বেশিরভাগই ভারতের মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক ও অধ্যাপক
গত ২৯ অক্টোবর কুন্দনকুলাম নিউক্লিয়ার প্রকল্প জানায় সংস্থার একক কন্ট্রোল সিস্টেমে সাইবার হানার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে, পরের দিনই তারা প্রশাসনিক ক্ষত্রে ব্যবহার্য ইন্টারনেটে ভাইরাস সংক্রমণের কথা স্বীকার করে নেয়। সঙ্গে সঙ্গেই তা DAE বিশেষজ্ঞদের দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওই ইন্টারনেট লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে নজরদারি রাখা হয়। তবে এসম্পর্কে ইসরো কিছুই প্রকাশ্যে জানায়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় ইসরোর কাছে। প্রশ্নাবলী ইমেলে পাঠানো হয়। কোনও জবাব আসেনি। পরে ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হলেও সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি। পরে সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিশ্চিত করে জানায় চন্দ্রায়ণ-২ চাঁদে অবতরণের সময় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে অবশ্য দ্রুত সমস্যার সমাধান করে ফেলা হয়।
Read the full story in English