/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/Untitled-design-96.jpg)
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ফাইল ছবি।
Maharashtra: শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর গোয়ার রিসোর্ট, চিনির কল, দিল্লির অভিজাত ফ্ল্যাট এবং দক্ষিণ মুম্বইয়ের নির্মল টাওয়ারের অফিস প্রাথমিক ভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাওয়ার পরিবার সম্বন্ধীয় এই সম্পত্তিগুলোর বিরুদ্ধে বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ আইনে ব্যবস্থা নিয়েছে আয়কর দফতর।
গত মাসের ৭ অক্টোবর আয়কর দফতর অজিত পাওয়ারের ছেলের একটি সংস্থায় অভিযান চালায়। আয়কর দফতরের তদন্তে জানা গিয়েছে, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বোনের নামে থাকা কয়েকটি সংস্থা, মহারাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে থাকা চারটি চিনি কল এবং দুটি রিয়াল এস্টেট সংস্থা—এগুলো পরোক্ষে পাওয়ার পরিবারের নামে। সেই মাসেই ১৪ তারিখ আয়কর দফতর দাবি করেছিল, অজিত পাওয়ারের পরিবারের নামে থাকা বেহিসেবি প্রায় ১৮৪ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে যখন ব্যবস্থা নিয়েছে আয়কর দফতর, তখন অপর এক এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখকে গ্রেফতার করেছে ইডি। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিল ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই তদন্তের সুত্র ধরে ১২ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর গ্রেফতার দেশমুখ। আর্থিক দুর্নীতি এবং তছরুপের অভিযোগে সোমবার রাতে দেশমুখকে গ্রেফতার করে ইডি। সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেলা বারোটা নাগাদ ডেকে পাঠানো হয়। জেরা চলে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। গভীর রাত দেড়টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আর্থিক তছরুপ এবং দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারের কথা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্র মারফত জানতে পেরেছে।
এর আগে সোমবার সকালে দিল্লি থেকে ইডি আধিকারিকরা মুম্বইয়ে আসেন দেশমুখকে জেরা করার জন্য। আগে পাঁচবার সমন পেয়েও ইডি অফিসে যাননি দেশমুখ। পাশাপাশি সেই নোটিস খারিজের আবেদন নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ইডি দফতরে যাওয়ার আগে দেশমুখ একটি ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি তদন্তে ইডিকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।
তিনি বলেন, “আমি ইডির সমন পেয়েছি। কিন্তু মিডিয়া ভুল খবর পরিবেশন করছে যে আমি তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছি না। প্রত্যেকবার সমন পাওয়ার পর আমি ইডিকে জানাই আমার আবেদন হাইকোর্টে বিচারাধীন, সেই মামলার নিষ্পত্তি হলেই আমি ইডি দফতরে যাব।” তিনি আরও বলেন, “আমার পরিবার এবং কর্মীরা সবসময় তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তল্লাশির সময় কখনও বাধা দেয়নি। আমি সিবিআইকে আমার বয়ান দিয়েছি, আজ আমি ইডি দফতরে যাব।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন