করোনার ভ্য়াকসিন! মৃত্য়ুমিছিলে আশার আলো দেখিয়ে দাবি ইটালির

রোমের স্পালানজানি হাসপাতালের সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা এই ভ্য়াকসিন পরীক্ষা করেছেন। ইঁদুরের দেহে ভাইরাসের অ্য়ান্টিবডি তৈরির পর তা মানব শরীরেও কাজ করেছে।

রোমের স্পালানজানি হাসপাতালের সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা এই ভ্য়াকসিন পরীক্ষা করেছেন। ইঁদুরের দেহে ভাইরাসের অ্য়ান্টিবডি তৈরির পর তা মানব শরীরেও কাজ করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronavirus, করোনাভাইরাস

প্রতীকী ছবি।

করোনায় মৃত্য়ুমিছিলের মধ্য়েই আশার আলো দেখাল ইটালি। ভাইরাস রুখতে যার জন্য় গোটা দুনিয়া হা পিত্য়েশ করে বসে রয়েছে, করোনা প্রতিরোধে সক্ষম সেই ভাইরাসই তৈরি করতে পেরেছে বলে দাবি করল ইটালির এক সংস্থা। ইটালির সংবাদসংস্থা এএনএসএ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রোমের স্পালানজানি হাসপাতালের সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা এই ভ্য়াকসিন পরীক্ষা করেছেন। ইঁদুরের দেহে ভাইরাসের অ্য়ান্টিবডি তৈরির পর তা মানব শরীরেও কাজ করেছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisment

ইতালিয় সংস্থা টাকিসের লুইগি আরিসিচিও এএনএসএ-কে জানিয়েছেন, করোনার এই ভ্য়াকসিন মানবদেহে প্রথমবার ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ''স্পালানজানি হাসপাতালের তরফে আমরা যা জানতে পেরেছে, তাতে আমরাই দুনিয়ায় প্রথম করোনা প্রতিরোধে সক্ষম এমন ভাইরাস তৈরি করতে পেরেছি। আশা করছি শীঘ্রই মানবশরীরে এটা প্রয়োগ করা হবে''। ইতালিয় সংস্থা টাকিসের গবেষকদের মতে, তাঁদের তৈরি এই ভ্য়াকসিন ফুসফুলের কোষে অ্য়ান্টিবডি তৈরি করতে পারবে।

আরও পড়ুন: Corona Lockdown Situation Live Updates: শীঘ্রই গড়াবে গণপরিবহণের চাকা: কেন্দ্র

রেথিয়েরা নামের আরেকটি ইতালিয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি করোনার ভ্য়াকসিন পশুদের মধ্য়ে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এই অ্য়ান্টিবডি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবে এবং ওই ভাইরাস নির্মূল করতে পারবে টি সেলস।

Advertisment

মঙ্গলবার ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দাবি করেছেন যে, তাঁরা অ্য়ান্টিববডি তৈরি করছে, যা ভাইরাস বিনাশ করতে পারবে এবং প্রতিরোধ করতে পারবে। যদিও মানবদেহে এই ভ্য়াকসিনের পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য়, করোনার হানায় বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্য়াও লক্ষাধিক। চিনের পর আমেরিকা, ইটালি, ব্রিটেনের মতো দেশও কার্যত দিশেহারা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus