Advertisment

"এম.জে. আকবরকে শ্রদ্ধা করি...তিনি অসাধারণ শিক্ষক"

এম.জে. আকবরের পক্ষে মুখ খুলে এর আগে জয়িতা বসু বলেছিলেন, 'তিনি আমার জীবনের অন্যতম সেরা বস'। তিনি আরও বলেছিলেন, 'কখনও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অস্বস্তি বোধ করিনি'।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আকবরের পক্ষে মোট ছয় সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সাংবাদিক প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে #MeToo সংক্রান্ত ফৌজদারি মানহানির মামলায় প্রাক্তন সম্পাদক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম.জে. আকবরের পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন সাংবাদিক জয়িতা বসু। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, সোমবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ আদালতে নিজের বয়ানে জয়িতা বলেন, "আমি বরাবরই তাঁকে (আকবর) শ্রদ্ধার চোখে দেখে এসেছি। আমার সঙ্গে সবসময় তিনি পেশাদারি আচরণ করতেন। উনি চিরকালই খুব কড়া প্রকৃতির কাজের মানুষ, পেশাদার এবং অসাধারণ এক শিক্ষক"।

Advertisment

উল্লেখ্য, #MeToo আন্দোলনে সামিল হয়ে ৮ অক্টোবর সাংবাদিক প্রিয়া রমানি প্রাক্তন সম্পাদক এম.জে. আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, চাকরির ইন্টারভিউ-এর নাম করে আকবর তাঁকে হোটেলে ডাকেন এবং বিছানায় বসতে বলেন। রমানির পর আরও ১০ মহিলা সাংবাদিকও এম.জে. আকবরের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। এরপরই রমানির অভিযোগকে 'বানানো' এবং 'শুধুমাত্র' তাঁর সুনাম 'বিনষ্ট' করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করেন এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- #MeToo মামলা করে চুপ করাতে চাইছেন আকবর, লড়াই জারি থাকবে: প্রিয়া রামানি

মামলাকারী অর্থাৎ আকবরের পক্ষে মোট ছয় সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, জয়িতা বসু, বিনু সান্ডেল, শায়েদ হাবিবুর রহমন, তপন চাকী, সুনীল গুজরাল এবং মনজর আলি। এছাড়া, আকবরের দায়ের করা আবেদনের সঙ্গে 'ভোগ ইন্ডিয়া'-তে প্রকাশিত একটি আর্টিক্যালের (এখানে নাম না করে আকবরকে নিশানা করেছিলেন রমানি) এবং টুইটের প্রতিলিপিও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

এম.জে. আকবরের পক্ষে মুখ খুলে এর আগে জয়িতা বসু বলেছিলেন, 'তিনি আমার জীবনের অন্যতম সেরা বস'। তিনি আরও বলেছিলেন, 'কখনও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অস্বস্তি বোধ করিনি'। আকবরকে নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে ২৯ অক্টোবর টুইটে জয়িতা বসু লেখেন, "এত জন যখন কথা বলছেন, তাহলে আমার অভিজ্ঞতার কথাও বলা যাক: আমার কর্মজীবনের অন্যতম সেরা বস এম.জে. আকবর। খবরের কাগজ সম্পর্কে আমি যা জানি, সেই জ্ঞানের সবটুকুই তাঁর থেকে পাওয়া। তিনি কড়া ধাঁচের কাজের মানুষ এবং আগাগোড়া পেশাদার। কখনও (তাঁর সঙ্গে কাজ করতে) অস্বস্তি বোধ করিনি। কখনও না "।

Read the full story in English

MJ Akbar
Advertisment