/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/03/j-k-highway-blast.jpg)
গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠিকে ঘিরে রহস্য ঘনাচ্ছে
জম্মুতে জহর ট্যানেলের কাছে বানিহাল হাইওয়েতে শনিবার সকালে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হয়। একটি স্যান্ট্রো গাড়িতে রহস্যজনক ভাবে বিস্ফোরণ ঘটে। সিআরপিএফের গাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি স্যান্ট্রো গাড়ি। তারপরই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা বেশি ছিল। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পরেও গাড়ির চালক নিখোঁজ।
শনিবার সন্ধেবেলা জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, কী ভাবে গাড়িতে আগুন লাগল এবং এটা আদৌ জঙ্গি হামলা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জম্মু অঞ্চলের আইজিপি এম কে সিনহা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন গাড়ির ভেতর কিছু আইইডি পাওয়া গিয়েছে। সাদা পাতায় ইংরেজিতে লেখা একটা চিঠিও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনহা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে চিঠিটি গাড়ির চালকেরই লেখা।
চিঠির লেখক জানিয়েছেন তিনি হিজবুল মুজাহিদ্দিনের সদস্য। ১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মীর পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে তিনি চরম পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বলেও লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে। চিঠির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিক সিনহা।
আরও পড়ুন, “প্রতিরক্ষা বিষয়ক তথ্য গোপনীয়, সরকার নিতান্তই বোকা হলে তা প্রকাশ্যে আনে”
গাড়িতে দুটি এলপিজি সিলিন্ডার ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে একটিতে বিস্ফোরক ছিল। "বিস্ফোরণ স্থলে দুটি এলপিজি সিলিন্ডারের মধ্যে একটিতে বিস্ফোরক ছিল। এই মুহূর্তে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না", বললেন আধিকারিক সিনহা।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বানিহাল হাইওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়, কিন্তু পুলিশ হাইওয়ের দু'ধারের জঙ্গল সহ ৭ কিলোমিটার দূরের তেথার গ্রামে তল্লাশি চালায়।
বানিহালের সাব ডিভিশনাল পুলিশ আধিকারিক সজদ সরোয়ার পিটিআইকে বলেছে স্যান্ট্রো চালক পালিয়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। "সিআরপিএফ বাসচালককে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে"।
Read the full story in English