প্রবেশিকা পরীক্ষা ফেরানোর দাবিতে প্রাণপন লড়ে গিয়েছেন যাদবপুরের একদল পড়ুয়া। তাঁদের চাপের মুখে পড়ে সুর বদলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রবেশিকা পরীক্ষা ফিরল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছিল। প্রবেশিকার দায়িত্ব বিভাগগুলিই নেবে নাকি মূল্যায়ন করবেন বাইরের শিক্ষকরা?
মূলত এই বিষয় নিয়েই আলোচনায় বসে অ্যাডমিশন কমিটি৷ বুধবার মিটিং-এর পর রেজিস্ট্রার জানালেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকায় কোনও আউটসোর্সিং অর্থাৎ বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ থাকবে না। এ বিষয়ে সমস্ত দিক দেখাশোনা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাই। প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে এতদিন যেসব বাইরের এজেন্সির সাহায্য নেওয়া হত, তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে এবার থেকে। প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে সমস্ত কাজ করবেন কর্তৃপক্ষই। পাশাপাশি নিম্নলিখিত প্রবেশিকার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
২১ জুলাই: ইংরাজি, ২৩ জুলাই: বাংলা ২৪ জুলাই: দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ২৫ জুলাই: তূলনামূলক সাহিত্য ও ইতিহাস।
মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ৩ অগাষ্ট, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কাজ চলবে ৮, ৯ এবং ১০ অগাষ্ট ।
আরও পড়ুন: হস্টেলের দাবিতে অনির্দিষ্ট কাল অনশনে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা
প্রবেশিকা অব্যাহত রাখতে অনশনের ৯৪ ঘণ্টার মাথায় জয়ের মুখ দেখল আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। স্বভাবতেই মুখে হাসি প্রত্যেকের। কার্যত চাপের মুখে পড়ে মঙ্গলবার রাতে কলাবিভাগের ছ'টি বিষয়েই প্রবেশিকা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি জানানো হয়, প্রবেশিকা ও উচ্চ-মাধ্যমিকের নম্বর মিলিয়ে তৈরি হবে ভর্তি তালিকা। প্রবেশিকার ৫০ শতাংশ, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ৫০ শতাংশ, দুই পরীক্ষার ফলের নিরিখেই নেওয়া হবে ভর্তি ৷
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রবেশিকা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের পরই পদত্যাগের আর্জি জানান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য। কথা ছিল রাজভবনে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ আসতে পারেননি উপাচার্য।