২৪ ঘণ্টা পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বদলায়নি। এখনও চলছে অবস্থান। এখনও ঘেরাও হয়ে রয়েছেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার। এদিকে ছাত্রছাত্রীদের দাবির পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক শিক্ষক সংগঠন।
বৃহস্পতিবার ছাত্রভর্তিতে প্রবেশিকা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জুটা। বৈঠক শেষে সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার প্রবেশিকা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গান্ধীভবনের সামনে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হবে জুটা। সংগঠনের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ ছাড়াও শুক্রবার দিনভর কর্মবিরতি পালন করবেন সংগঠনের সদস্য শিক্ষকরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আজ শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন উপাচার্য। তিনি বলেন "আমার সঙ্গে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি চাইলে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে ইসি।’’ একইসঙ্গে নিজের পদমর্যাদার ব্যাপারে তাঁর দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করেছেন উপাচার্য। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে সুরঞ্জন দাস বলেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্বভার সামলানো যে কত কঠিন, রিপোর্ট চাওয়া হলে সেখানে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে জানাবেন তিনি ।
বৃহস্পতিবারও দিনভর চলল বিক্ষোভ।
পড়ুয়ারা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত না বদলানো পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। যদিও তাঁদের দাবি মেনে প্রবেশিকা পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে আশার আলো দেখছেন না কেউই। বৃহস্পতিবার দুপুরে অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে জানান হয়েছে স্নাতকের কলা বিভাগের ফর্ম ফিলআপ শুরু হচ্ছে আগামিকাল থেকেই। এ ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমাও, চলবে ১২ তারিখ অবধি। মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১৯ জুলাই। ঘোষণা করা হয়েছে ভর্তির তারিখও। ২৭, ২৮, ৩০ এবং ৩১ জুলাই এই দিনগুলিতে চলবে ভর্তি প্রক্রিয়া।
ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে শিক্ষামহলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের মধ্যে। বিভিন্ন স্তরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: প্রবেশিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত যাদবপুরে, বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা, মান নিয়ে আশঙ্কা শিক্ষামহলে
এখানেই শেষ নয়, এমন টালমাটাল অবস্থাতেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর তৈরি হয়েছে আরও এক অশান্তির বীজ। ৩ জুন কলা বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের মেধা তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও আজও তা প্রকাশ পায়নি। এক ছাত্রের কথায়, কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার এর কারণ জানতে চাওয়া হলেও কোনও উত্তর মেলেনি।