দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনার জের। এলাকার বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির পুরনিগমকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। আগামিকাল এই মামলায় ফের শুনানি হবে। বুধবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা নির্দেশ দেন, "স্থিতাবস্থা বজায় রাখুন। আগামিকাল সঠিক বেঞ্চে আবেদন করুন।"
এদিন সিনিয়র আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে বিষয়টি নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের। তখনই এই নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। দাভে এদিন আদালতে জানান, "এটা পুরোপুরি বেআইনি, অসাংবিধানিক, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানেই দাঙ্গা লেগেছিল। কোনও নোটিস ছাড়াই সেখানে নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরনিগম আইন অনুযায়ী, অন্তত ৫ থেকে ১৫ দিন আগে নোটিস দিতে হয়। তাঁদের এর বিরুদ্ধে আবেদন করার অধিকার আছে।"
তিনি আদালতে জানান, আজ, বুধবার দুপুর তিনটে থেকে উচ্ছেদের কাজ শুরু হত। কিন্তু সকাল ৯টা থেকেই এটা শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কারণ পুরনিগম জানতে পেরেছে এটা আদালতে পেশ করা হবে।
এদিকে, উত্তর দিল্লির পুরনিগমের কমিশনার সঞ্জয় গোয়েল জানিয়েছেন, তিনি কোনও নির্দেশ পাননি এবং নির্মাণ ভাঙার কাজ জারি থাকবে। তিনি জানিয়েছেন, "আমি ল অফিসারের সঙ্গে কথা বলব।"
অন্যদিকে, পুরনিগমের সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ জাহাঙ্গিরপুরীর বাসিন্দারা। রহিমা নামে এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে তিনি ধার নিয়ে ১৫ টাকা দিয়ে একটা ফ্রিজ কিনেছিলেন। বলেছেন, "ওরা বলল ভাঙাচোরা জিনিসগুলো সরানো হবে। আমি পুলিশকে সকাল থেকে বার বার জানালাম, ওরা কথা দিয়েছিল আমার দোকানের কিছু হবে না। কিন্তু আমার দোকান ঘর ভেঙে দিল। ফ্রিজটা শেষ।"
রমন ঝা নামে এক পানের দোকানি বলেছেন, "কোনও নোটিস, কোনও খবপ নেই। পুলিশ সকাল থেকে তিনবার এসে আমাদের বলেছিল কিছু হবে নাষ আচমকা আমার দোকানটা ভেঙে দিল।"