Delhi: গ্যাংওয়ারের সাক্ষী থাকল দিল্লির রোহিণী আদালত চত্বর। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুই আততায়ীর গুলিতে মৃত দাগী মাফিয়া জিতেন্দর মান অরফে গোগী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলার এই ঘটনার নেপথ্যে জেলবন্দি মাফিয়া সুনীল অরফে তিল্লু তাজপুরিয়া। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গোগীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে নিহত দুই আততায়ী। আইনজীবীর পোশাকে আদালতের ২০১ নম্বর রুমে ঢুকে ভরা এজলাসেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্তরা।
Advertisment
সেই সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বিচারকও। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় মোট গোগী-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক শিক্ষানবীশ আইনজীবী পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। স্বভাবতই আদালতের মতো হাইপ্রোফাইল জোনে এই গুলি চালনার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, মাসকয়েক আগে গোগীর ঘনিষ্ঠ এক দুষ্কৃতী আদালতে পেশের আগে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে আরও বেশি নিরাপত্তায় ঘেরা হয়েছে গোগীকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, ‘গোগী আদালত চত্বরে প্রবেশ করতেই আইনজীবীর বেশে থাকা দুই আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। কোর্ট চত্বরে আতঙ্ক-উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোগীর সুরক্ষায় থাকা সশস্ত্র বাহিনীর পুলিশ পাল্টা দুই অভিযুক্তকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেই মৃত্যু হয় তাদের।‘
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে আলিপুর এবং শোনিপত এলাকায় তোলাবাজির সিন্ডিকেট চালায় তিল্লু এবং গোগী। সেই সূত্রেই দু’জনের দ্বন্দ্ব। গত কয়েক বছর দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রায় ডজন খানেক দুষ্কৃতী নিহত হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালেই তিল্লুকে খতমের ছক কষেছিল গোগী। কিন্তু সেই যাত্রায় প্রাণে বাঁচে এই মাফিয়া। কিন্তু তার গ্যাংয়ের অধিকাংশ সদস্যকে ইতিমধ্যে হত্যা করেছে গোগী। তার সেই দাপট এদিন চিরশত্রুর হাতে মৃত্যুর সঙ্গেই শেষ হল, দাবি দিল্লি পুলিশের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন