ধর্ম আলাদা, তাই জয়পুরের হোটেলে ঘর পেলেন না প্রেমিক-প্রেমিকা

নিজেদের এক দশকের বেশি সময় ধরে চেনেন বলে জানিয়েছেন ওই যুগল। জানিয়েছেন ধর্ম কখনো তাঁদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

নিজেদের এক দশকের বেশি সময় ধরে চেনেন বলে জানিয়েছেন ওই যুগল। জানিয়েছেন ধর্ম কখনো তাঁদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মহিলার ধর্ম ইসলাম। সঙ্গীর ধর্ম হিন্দু। তাই জয়পুরের এক হোটেল ঘর দিতে অস্বীকার করল যুগলকে। শনিবার রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে জয়পুরের এক ওওয়াইও হোটেলে।

Advertisment

৩১ বছরের সহকারী প্রফেসর থাকেন উদয়পুরে। তাঁর কথায়, "আমি একটা ট্র্যাভেল অ্যাপের মাধ্যমে ঘর বুক করেছিলাম। আমার বান্ধবীর একটু পরেই এসে পৌঁছনোর কথা ছিল। সকাল ৮টা ৯ টার সময় আমি পৌঁছে যাই। আমার সঙ্গে কে রয়েছেন, সেই নিয়ে রিসেপশনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ওনারা জানিয়ে দেন ঘর দিতে অসুবিধে রয়েছে"। যুগলের ধর্ম ভিন্ন, তাই ঘর দেওয়া যাবে না, জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের।

আরও পড়ুন, ৫১৮ বছরে এই প্রথম বলি বন্ধ ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে

এই কথা শুনে অধ্যাপক নিজে বলেন ট্র্যাভেল অ্যাপের কোথাও এমন উল্লেখ নেই। তাছাড়া এটি ভারতের সংবিধানের বিরোধী। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, স্থানীয় পুলিশের নির্দেশ অমান্য করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।

Advertisment

অধ্যাপকের বান্ধবী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "আমরা ২১ শতকে বাস করছি। এখনও ধর্মের ভিত্তিতে কী ভাবে মানুষকে আলাদা করা হচ্ছে আমি জানি না। নিজেদের এক দশকের বেশি সময় ধরে চেনেন বলে জানিয়েছেন ওই যুগল। জানিয়েছেন ধর্ম কখনো তাঁদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। হিন্দুর সঙ্গে শিখ কেউ থাকলে এই সমস্যা হত না, মুসলমান রয়েছে বলেই সমস্যা, মনে করছেন বান্ধবী।

হোটেলের ম্যানেজার গোবর্ধন জানিয়েছেন আমরা ভিন্ন ধর্মের মানুষকে এক সঙ্গে ঘর দিই না। এটাই এখানকার নিয়ম। স্থানীয় পুলিশেরও সেরকমই নির্দেশ"। পুলিশের লিখিত নির্দেশ দেখাতে না পারলেও হোটেল ম্যানেজার জানিয়েছেন লিখিত এবং মৌখিক নির্দেশ মেনেই ঘর দিতে অস্বীকার করা হয়েছে।

Read the full story in English