রাজস্থানের জয়পুরকে হেরিটেজ সাইটের তকমা দিল ইউনেস্কো

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল জয়পুরের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের মানুষকে গোলাপি শহরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল জয়পুরের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের মানুষকে গোলাপি শহরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jaipur Heritage City, Unesco

ফাইল ফোটো

ওয়ার্লড হেরিটেজ তালিকায় ঢুকে পড়ল রাজস্থানের জয়পুর। শনিবার ইউনেস্কো থেকে এই স্বীকৃতি মিলেছে।

Advertisment

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শনিবার সকালে ওয়ার্লড হেরিটেজ কমিটির এক বৈঠকে বিশ্ব হেরিটেজ তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে সাতটি সাংস্কৃতিক স্থান। যেসব দেশ এই তালিকায় প্রবেশ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, চিন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান এবং লাওস।

ইউনেস্কোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ এলাকার অন্য সব জায়গার মত পাহাড়ি অঞ্চল নয়, জয়পুর সমভূমি এলাকায় অবস্থিত এবং বৈদিক স্থাপত্যের আলোকে নির্মিত। জয়পুরের চৌপরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ইউনেস্কোর বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শহরের পরিকল্পনায় প্রাচীন হিন্দু ধারণার সঙ্গে মিলে গিয়েছে আধুনিক মুঘল ভাবনা ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতি। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিকল্পিত এ শহর আজও বহন করে চলেছে স্থানীয় ব্যবসায়িক ঐতিহ্য, কারিগরি ভাবনা ও সমবায়ের মানসিকতাও।

Advertisment

ইউনেস্কোর সাম্প্রতিকতম তালিকায় অন্য যেসব জায়গা ঠাঁই পেল, সেগুলি হল বাহরিনের দিলমন সমাধিক্ষেত্র, অস্ট্রেলিয়ার বুজ বিম কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ, চিনের লিয়াংজু শহরের স্থাপত্য অবশেষ, ইন্দোনেশিয়ার সাওয়াহলুনতো-র ওম্বিলিন কয়লাখনি হেরিটেজ, জাপানের মোজু ফুরুইচির কোফুন গোষ্ঠী, এবং লাওসের প্লেনস অফ জারস।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, জয়পুর শহর শৌর্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। ইউনেস্কোর ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইটে জয়পুর ঢুকে পড়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল জয়পুরের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের মানুষকে গোলাপি শহরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট টুইটারে বলেছেন এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অহংকারের বিষয় এবং রাজস্থানের রাজধানীতে মহিমা যোগ করবে। তিনি বলেন এর ফলে পর্যটন বৃদ্ধি পাবে এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় অর্থনীতিকেও উপকৃত করবে।

এ নিয়ে টুইট করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেও।