সীমান্ত সংঘাতের আবহেই মস্কোয় আজ ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপরই নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত মিটে যাবে এমনটা মনে করছেন না কেউ। তবে, উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যেই এই বৈঠক ঘিরে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে হলা হয়েছে, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্জে ল্যাভরয়ের উদ্যোগে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। উল্লেখ্য, গালওয়ানে হিংসার পর রাশিয়ার হস্তক্ষেপেই প্রতিবেশী দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি ভাল হওয়ার চেয়ে আরও জটিল হয়ে যায়।
প্যাংগংয়ের দক্ষিণপ্রান্তকে কেন্দ্র করে বর্তমানে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব চরমে। ৪৫ বছর পরে গুলি চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। এখনও ভারতের নিয়ন্ত্রিত চূড়ো থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে লাল ফৌজ। অন্যদিকে, গালওয়ান সহ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে চিন সেনা সরালেও প্যাংগং-য়ের উত্তরপ্রান্ত, গোগরা পোস্টে এখনও চিনা সেনা অবস্থান করছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ বছর পরে যেখানে গুলি চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেই মুকপারি থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরেই চিনা সেনা অবস্থান করছে। ফিঙ্গার ৩-৪ লাল ফৌজের দখলে।
অগাস্টের শেষে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে তিনটি গিরিখাতে ভারতীয় সেনা নিজেদের ঘাঁটি গেড়েছে। ফলে চাপে পড়েছে বেজিং। ওই পদক্ষেপের ফলে অবস্থানগত ভাবে ভারত অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছেছে। এটা বেজিংয়ের অস্বস্তির কারণ। তারপরই সুর নরম করেছে প্রতিবেশী দেশটি। আপাতত তাই এই সুবিধাজনক অবস্থান থেকেই আলোচনা শুরু করতে পারেন জয়শঙ্কর।
বুধবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্জে ল্যাভর বলেছেন, 'সকল ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিকাশ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগকে অত্যন্ত প্রশংসা করি।'
তবে, ভারতীয় সেনার এক অফিসার জানিয়েছেন, হটলাইনে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া মাইকেও নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে না আসতে লালফৌজকে সতর্ক করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনা বর্তমানে যেসব চুড়োয় রয়েছে সেখান থেকে তাদের নামাতে মরিয়া প্রয়াস করছে চিনা সেনারা।
এই পরিস্থিতিতে আজ নজরে এস জয়শঙ্কর-ওয়াং ই বৈঠক।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন